নারায়ণগঞ্জ ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত

লুটপাট বন্ধ না হলে বাজেটের কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১
  • ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: করোনা দুর্যোগের মাঝে সরকারের প্রস্তাবিত বিশাল ঘাটতি ও ঋণনির্ভর বাজেট জনদুর্ভোগ আরও প্রকট করবে ও দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করবে। করোনাকালীন সঙ্কটেও সরকারঘোষিত বাজেটে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অনেকটাই অবহেলিত। তারপরও বাজেট বাস্তবায়নে সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করতে না পারলে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) গণমাধ্যামে প্রেরিত তাৎক্ষনিক বাজেট প্রতিক্রিয়ার পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর বাজেট। এই বাজেট সাধারন মানুষের কল্যাণে বা বিশাল মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যত্তি ও দরিদ্র জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হয় নাই। এই বাজেটে দুই পদ্ধতিতে ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে। যা শাখের করাতের মত অবস্থা। বরাবরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর মাধ্যমে আসলে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থই বারবার রক্ষা করা হচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হয়। সরকারের উচিত এই প্রস্তাব বাতিল করা।

নেতৃদ্বয় বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে- এই বাজেট কল্পনাবিলাসী ও লুটপাট সহায়ক বাজেট। বাজেটের টাকা কোত্থেকে আসবে। বিদেশি ব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী নাকি দেশীয় কোনও ব্যাংক থেকে। কিন্তু এই অর্থের চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। করোনাকালে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে এর মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভালো বাজেট সেটাই, যেই বাজেটে সাধারন মানুষের কথা ভাবা হয়।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে শিল্পায়ান হচ্ছে না। এই শিল্পায়ন না হলে বেকারত্ত¡ দূর করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বিশ্বাল বেকার জনগোষ্টি পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে উঠছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষে প্রয়োজন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তা না হলে বাজেট বিশাল করে লাভ নেই।

তারা বলেন, বড় প্রত্যাশা থাকলেও বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ দিয়েই দায় এড়ানো যায় না। করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা লাভ করেছে সমগ্র জাতি যে, স্বাস্থ্যখাত মুলত লুটেরাদের কবলে রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে থোক বরাদ্দের অভিজ্ঞতা আসলে ভালো নয়। এতে দুর্নীতি, লুটপাটের ক্ষেত্র আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতা ও দুর্নীতি রাষ্ট্রের সার্বিক দায়িত্বহীনতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রস্তাবিতত বাজেটে যে ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, তা পুরোপুরি অবাস্তব। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বড়জোর ৪-৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। করোনার থাবা কতদিন স্থায়ী হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ অতি উচ্চাভিলাষী।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সকল স্তরে ধারাবাহিক দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরও সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা জনগনের বুঝে আসে না। সরকার হয়ত মনে করে ব্যবস্থা নিতে গেলে দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। অথচ এই ব্যবস্থা না নেয়ার মানসিকতা গোটা বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। ফলে সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরাদের কল্যাণ করলেও জনগনের কল্যাণে আসবে না।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত

লুটপাট বন্ধ না হলে বাজেটের কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ১২:৫৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: করোনা দুর্যোগের মাঝে সরকারের প্রস্তাবিত বিশাল ঘাটতি ও ঋণনির্ভর বাজেট জনদুর্ভোগ আরও প্রকট করবে ও দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করবে। করোনাকালীন সঙ্কটেও সরকারঘোষিত বাজেটে গণমানুষের স্বার্থ রক্ষার বিষয়টি অনেকটাই অবহেলিত। তারপরও বাজেট বাস্তবায়নে সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে বরাদ্দকৃত অর্থ হরিলুট, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করতে না পারলে কাঙ্খিত সুফল পাওয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

বৃহস্পতিবার (৩ জুন) গণমাধ্যামে প্রেরিত তাৎক্ষনিক বাজেট প্রতিক্রিয়ার পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, বিশাল অঙ্কের ঋণনির্ভর বাজেট। এই বাজেট সাধারন মানুষের কল্যাণে বা বিশাল মধ্যবিত্ত বা নিন্ম মধ্যত্তি ও দরিদ্র জনগণের কল্যাণের কথা চিন্তা করা হয় নাই। এই বাজেটে দুই পদ্ধতিতে ভ্যাট আরোপ হতে যাচ্ছে। যা শাখের করাতের মত অবস্থা। বরাবরের মতো নতুন অর্থবছরের বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত সঠিক নয়। এর মাধ্যমে আসলে লুটেরা ও দুর্নীতিবাজদের স্বার্থই বারবার রক্ষা করা হচ্ছে। ফলে দুর্নীতিবাজরা উৎসাহিত হয়। সরকারের উচিত এই প্রস্তাব বাতিল করা।

নেতৃদ্বয় বলেন, অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে- এই বাজেট কল্পনাবিলাসী ও লুটপাট সহায়ক বাজেট। বাজেটের টাকা কোত্থেকে আসবে। বিদেশি ব্যাংক, দাতাগোষ্ঠী নাকি দেশীয় কোনও ব্যাংক থেকে। কিন্তু এই অর্থের চাপ পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। করোনাকালে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ছে। এই বাজেটে এর মাত্রাকে ছাড়িয়ে যাবে। ভালো বাজেট সেটাই, যেই বাজেটে সাধারন মানুষের কথা ভাবা হয়।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দেশে শিল্পায়ান হচ্ছে না। এই শিল্পায়ন না হলে বেকারত্ত¡ দূর করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের বিশ্বাল বেকার জনগোষ্টি পরিবার-সমাজ ও রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে উঠছে। এই অবস্থা থেকে পরিত্রানের লক্ষে প্রয়োজন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। তা না হলে বাজেট বিশাল করে লাভ নেই।

তারা বলেন, বড় প্রত্যাশা থাকলেও বাজেটে স্বাস্থ্যখাতের বরাদ্দ দিয়েই দায় এড়ানো যায় না। করোনা পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা লাভ করেছে সমগ্র জাতি যে, স্বাস্থ্যখাত মুলত লুটেরাদের কবলে রয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে থোক বরাদ্দের অভিজ্ঞতা আসলে ভালো নয়। এতে দুর্নীতি, লুটপাটের ক্ষেত্র আরও বেড়ে যায়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অদক্ষতা ও দুর্নীতি রাষ্ট্রের সার্বিক দায়িত্বহীনতার প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। অন্যদিকে প্রস্তাবিতত বাজেটে যে ৭.২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে, তা পুরোপুরি অবাস্তব। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলছে, বড়জোর ৪-৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হতে পারে। করোনার থাবা কতদিন স্থায়ী হবে, সেটা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এ সময় জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ অতি উচ্চাভিলাষী।

নেতৃদ্বয় বলেন, দেশের সকল স্তরে ধারাবাহিক দুর্নীতির খবর প্রকাশের পরও সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না, তা জনগনের বুঝে আসে না। সরকার হয়ত মনে করে ব্যবস্থা নিতে গেলে দুর্বলতা প্রকাশ পাবে। অথচ এই ব্যবস্থা না নেয়ার মানসিকতা গোটা বাংলাদেশকে বিপদের মুখে ফেলে দিচ্ছে। ফলে সরকারের প্রস্তাবিত বাজেট লুটেরাদের কল্যাণ করলেও জনগনের কল্যাণে আসবে না।