বিশেষ প্রতিনিধি : আগের দফায় সোয়াবিন তেলের মূল্যবৃদ্ধির এক মাস পার না হতেই ব্য্বাসায়ীরা তেলের মূল্য ১৩ টাকা বৃদ্ধির যে প্রস্তাব দিয়েছে তাকে জনস্বার্থ বিরোধী হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ মন্তব্য করেছে যে, অবস্থা দেখে মনে হয় দেশের ভোজ্যতেলের বাজারে চলছে ব্যবসায়ীদের রামরাজত্ব।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, দেশে দফায় দফায় বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। বর্তমানে যে দাম আছে, সেটাই সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। অথচ ব্যবসায়ীরা দাম আরও বাড়ানোর জন্য সক্রিয় হয়ে উঠেছেন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ধরনা দিচ্ছেন কাদের স্বার্থে ? দেশের ইতিহাসে সয়াবিন তেল এখন সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব অনুযায়ী শেষ পর্যন্ত যত টাকাই বৃদ্ধি হোক, নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য তা চাপ তৈরি করবে।
নেতৃদ্বয় বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের মুল্যবৃদ্ধির পূর্বেই বাংলাদেশে তেলের মূল্যবৃদ্ধি পেয়েছে। অসৎ ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধির দোহাই দিয়ে সাধারণ মানুষের পকেট কেটে টাকা নিয়ে গেছে। অথচ, বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কোনো দৃশ্যমান ও কার্যকর পদক্ষেপ জনগনের চোখে পড়ে নাই। সরকারের দুর্বল মনিটরিং-এর কারনে আন্তর্জাতিক বাজারে মুল্যবৃদ্ধির ইঙ্গিত পেলেই উৎপাদন ও সরবরাহকারীরা পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করে জনগনের পকেট কাটায় ব্যাস্ত হয়ে পড়ে।
তারা ভোজ্যতেলের বাজার সহনীয় পর্যায়ে রাখতে আমদানিকারকদের দুই পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি, অগ্রিম কর প্রত্যাহার এবং সরবরাহ ও খুচরা পর্যায়ে কমিশন যৌক্তিক করার লক্ষে সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রনালয়কে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আহ্বান জানান। ভোজ্যতেলের দাম যেহেতু বিশ্ববাজারে সর্বোচ্চ, তাই সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করা প্রয়োজন। ব্যবসায়ীরা যাতে সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামতো মূল্যবৃদ্ধির করতে না পারে সেদিকেও কঠোর নজরদারী করতে হবে।