নারায়ণগঞ্জ ০৯:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

ফারাক্কার লংমার্চ জনগণকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

বিশেষ প্রতিনিধি : মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিল ভারত সরকারকে ফারাক্কা চুক্তি করতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল, জনগণকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করেছিল, যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং এখনও করে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ফারাক্কা লংমার্চ আগ্রাসী শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার শিক্ষা দেয়।

শনিবার (১৫ মে) ‘১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৫তম’ বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, আজকে মাওলানা ভাসানী বেঁচে থাকলে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ‘খামোশ’ বলে হুংকার ছাড়তেন। আজকে তিনি নেই কিন্তু জনগণ শুধু ফারাক্কা লং মার্চ নয়, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মাওলানা ভাসানীর অবদান চিরদিন মনে রাখবে এবং প্রতিটি সংকটে তার দেখানো পথ অনুসরণ করবে।

তারা বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা মিছিলের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী গঙ্গাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদীর পানির ওপর বাংলাদেশের দাবি ও অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই পথ থেকে বহুদূরে সরে গেছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ বছর মেয়াদি পানিবন্টন চুক্তির পরিণতি বাংলাদেশের জন্য ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা ও প্রচারণা চালানো সত্ত্বেও সরকার ভারতকে দিয়ে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করাতে পারেনি।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারত উজানের রাষ্ট্র হিসেবে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সৎ্ প্রতিবেশী হিসেবে যে আচরন প্রত্যাশা করে তা থেকে সকল সময়ই বঞ্চিত হয়েছে। ভারতের সাথে গত ৫০ বছরেও পানি সমস্যা সমাধাণের কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের শাসকগোষ্টির অবহেলা ও ব্যর্থতা। বাংলাদেশের শাসকগোষ্টি কেউ জাতিসংগে ফারাক্কা উত্থাপন করতে ভুলে যান আবার কেউ দ্বীপাক্ষিক সমাধানের কথা বললেও এই বিষয়ে প্রায়শই নিরবতা অবলম্বন করেন।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ৪৫ বছর আগেই স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বিশ্ব বিবেককে পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগ্রত করতে লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকন্ঠ ভারতের শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজো অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফারাক্কা নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি সুস্পষ্ট হলেও এনিয়ে কোন আলোচনা হয় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখন সেই ফাঁদ ভারতের জন্যও মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

তারা ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান, সাংগঠনিক প্রধান জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ সকল সংগঠক ও অংশগ্রহনকারী জনতার প্রাত গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, পানি সমস্যা সমাধানে শাসকগোষ্টির ব্যর্থতার দিকটিও প্রকটভাবেই জনগনের সামনে বাবার উম্মোচিত হয়েছে। আর সব কিছুর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে এসেছে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের শিক্ষা ও অর্জন থেকে সরে যাওয়া।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

ফারাক্কার লংমার্চ জনগণকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করে : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ১২:৩২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিল ভারত সরকারকে ফারাক্কা চুক্তি করতে প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করেছিল, জনগণকে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত করেছিল, যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে অনুপ্রাণিত করেছিল এবং এখনও করে বলে মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ফারাক্কা লংমার্চ আগ্রাসী শক্তি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলার শিক্ষা দেয়।

শনিবার (১৫ মে) ‘১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের ৪৫তম’ বার্ষিকী উপলক্ষে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বাণীতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, আজকে মাওলানা ভাসানী বেঁচে থাকলে দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ‘খামোশ’ বলে হুংকার ছাড়তেন। আজকে তিনি নেই কিন্তু জনগণ শুধু ফারাক্কা লং মার্চ নয়, এদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রতিটি গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে মাওলানা ভাসানীর অবদান চিরদিন মনে রাখবে এবং প্রতিটি সংকটে তার দেখানো পথ অনুসরণ করবে।

তারা বলেন, ১৯৭৬ সালের ১৬ মে ফারাক্কা মিছিলের মাধ্যমে মওলানা ভাসানী গঙ্গাসহ অভিন্ন ৫৪টি নদ-নদীর পানির ওপর বাংলাদেশের দাবি ও অধিকার আদায়ের পথ দেখিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগ সরকার সেই পথ থেকে বহুদূরে সরে গেছে। ১৯৯৬ সালের ৩০ বছর মেয়াদি পানিবন্টন চুক্তির পরিণতি বাংলাদেশের জন্য ধ্বংসাত্মক প্রমাণিত হয়েছে। এদিকে বছরের পর বছর ধরে চেষ্টা ও প্রচারণা চালানো সত্ত্বেও সরকার ভারতকে দিয়ে তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করাতে পারেনি।

নেতৃদ্বয় বলেন, ভারত উজানের রাষ্ট্র হিসেবে ভাটির দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে সৎ্ প্রতিবেশী হিসেবে যে আচরন প্রত্যাশা করে তা থেকে সকল সময়ই বঞ্চিত হয়েছে। ভারতের সাথে গত ৫০ বছরেও পানি সমস্যা সমাধাণের কারণ হচ্ছে বাংলাদেশের শাসকগোষ্টির অবহেলা ও ব্যর্থতা। বাংলাদেশের শাসকগোষ্টি কেউ জাতিসংগে ফারাক্কা উত্থাপন করতে ভুলে যান আবার কেউ দ্বীপাক্ষিক সমাধানের কথা বললেও এই বিষয়ে প্রায়শই নিরবতা অবলম্বন করেন।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় বলেন, ৪৫ বছর আগেই স্বপ্নদ্রষ্টা মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর বিশ্ব বিবেককে পানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জাগ্রত করতে লং মার্চের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। এই দিন বাংলার সর্বস্তরের মানুষের বজ্রকন্ঠ ভারতের শাসকমহলেও কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছিল। যার রেশ উপমহাদেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও পৌঁছে যায়।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১৯৭৬ সালের এই দিনে আয়োজিত লং মার্চের মূল লক্ষ্য ছিল ফারাক্কা বাঁধ। কিন্তু পদ্মাসহ সব অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন নিয়ে সমস্যা আজো অমীমাংসিত থেকে গেছে। ফারাক্কা নিয়ে সম্পাদিত চুক্তিতে শুভঙ্করের ফাঁকি সুস্পষ্ট হলেও এনিয়ে কোন আলোচনা হয় না। তিস্তা নিয়ে চুক্তির নামে দীর্ঘমেয়াদী লুকোচুরি খেলা চলছে। আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ভারত তার একতরফা নীতির আওতায় গঙ্গা তথা পদ্মায় যে অবৈধ বাঁধ নির্মাণ করে সেই বাঁধ বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের জন্য আজ মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এখন সেই ফাঁদ ভারতের জন্যও মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে।

তারা ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের মহানায়ক মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান, সাংগঠনিক প্রধান জাতীয় নেতা মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ সকল সংগঠক ও অংশগ্রহনকারী জনতার প্রাত গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, পানি সমস্যা সমাধানে শাসকগোষ্টির ব্যর্থতার দিকটিও প্রকটভাবেই জনগনের সামনে বাবার উম্মোচিত হয়েছে। আর সব কিছুর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে এসেছে মওলানা ভাসানীর ফারাক্কা মিছিলের শিক্ষা ও অর্জন থেকে সরে যাওয়া।