নারায়ণগঞ্জ ০১:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সরকারের উদ্দেশ্য আসলে কি? : বাংলাদেশ ন্যাপ

বিশেষ প্রতিনিধি : ফেরী বন্ধ আবার চালু, বিজেবি মোতায়েন, দূরপাল্লার বাস বন্ধ নিয়ে নানা নাটকিয়তার মধ্যে গত কয়েকদিনে গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগ দেখে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে ‘সরকারের উদ্দেশ্য আসলে কি? গরীব মানুষের ঈদযাত্রা বন্ধ করা, নাকি করোনা ঠেকানো? যদি করোনা ঠেকানোই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে কেন বিকল্প ভাবনা নেই?’ মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

সোমবার (১০ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, মহাসড়ক, ফেরিঘাটে করোনাকালের আগের ঈদগুলোর মতো উপচেপড়া ভিড় ও গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও অপিরিকল্পিত লকডাউন। মার্কেট খোলা, জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালু রেখে বিজেবি মোতায়েনের মাধ্যমে জনস্রোত রোখার সরকারের প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ ব্যর্থ। বরং অপরিকল্পিত লকডাউনের মধ্য দিয়ে সরকারের দুরদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোকে দুর্যোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউন না দিয়ে সরকারের উচিত ছিল পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখা, অন্যথায় পরিপূর্ণ চালু রাখা। এতে বরং পরিবহনগুলো নিয়মকানুন মেনে যাত্রী পরিবহনে অনেকটাই বাধ্য হতো। সব পরিবহন চালু থাকলে এত ভিড় ও গাদাগাদিও হতো না। গ্রামমুখি মানুষের এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। বন্ধ ও খোলার মাঝামাঝি অবস্থায় ভালো কিছু হবে না, হতে পারে না।

ন্যাপ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাকে গাদাগাদি করে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালু থাকলে যাত্রীরা সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমত।

তারা বলেন, দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চালুর রাখার নীতি সরকারের ভ্রান্তনীতি। যাদের গাড়ি আছে শুধু তাদের জন্য কেন সুযোগ থাকবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে বাস্তবে এ নিয়ম অকার্যকর; বরং প্রাইভেট গাড়িগুলো ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রকৃত অর্থে মানুষ সচেতন না হলে শুধু আইন করে, ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। বাস বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার চালু রাখলে গ্রামমুখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যাবে না। গত বছরের ঈদেও তা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সরকারের উদ্দেশ্য আসলে কি? : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৫:১২:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : ফেরী বন্ধ আবার চালু, বিজেবি মোতায়েন, দূরপাল্লার বাস বন্ধ নিয়ে নানা নাটকিয়তার মধ্যে গত কয়েকদিনে গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগ দেখে জনমনে প্রশ্ন জেগেছে ‘সরকারের উদ্দেশ্য আসলে কি? গরীব মানুষের ঈদযাত্রা বন্ধ করা, নাকি করোনা ঠেকানো? যদি করোনা ঠেকানোই উদ্দেশ্য হয়, তাহলে কেন বিকল্প ভাবনা নেই?’ মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ।

সোমবার (১০ মে) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া এই মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, মহাসড়ক, ফেরিঘাটে করোনাকালের আগের ঈদগুলোর মতো উপচেপড়া ভিড় ও গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও অপিরিকল্পিত লকডাউন। মার্কেট খোলা, জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালু রেখে বিজেবি মোতায়েনের মাধ্যমে জনস্রোত রোখার সরকারের প্রচেষ্টা পরিপূর্ণ ব্যর্থ। বরং অপরিকল্পিত লকডাউনের মধ্য দিয়ে সরকারের দুরদ্র, নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষগুলোকে দুর্যোগের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউন না দিয়ে সরকারের উচিত ছিল পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখা, অন্যথায় পরিপূর্ণ চালু রাখা। এতে বরং পরিবহনগুলো নিয়মকানুন মেনে যাত্রী পরিবহনে অনেকটাই বাধ্য হতো। সব পরিবহন চালু থাকলে এত ভিড় ও গাদাগাদিও হতো না। গ্রামমুখি মানুষের এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। বন্ধ ও খোলার মাঝামাঝি অবস্থায় ভালো কিছু হবে না, হতে পারে না।

ন্যাপ নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাকে গাদাগাদি করে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালু থাকলে যাত্রীরা সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমত।

তারা বলেন, দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চালুর রাখার নীতি সরকারের ভ্রান্তনীতি। যাদের গাড়ি আছে শুধু তাদের জন্য কেন সুযোগ থাকবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে বাস্তবে এ নিয়ম অকার্যকর; বরং প্রাইভেট গাড়িগুলো ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে।

নেতৃদ্বয় বলেন, প্রকৃত অর্থে মানুষ সচেতন না হলে শুধু আইন করে, ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। বাস বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার চালু রাখলে গ্রামমুখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যাবে না। গত বছরের ঈদেও তা সম্ভব হয়নি।