নারায়ণগঞ্জ ০৯:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৫ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতির নাম ভাঙ্গিয়ে শামিম ঢালীর চাঁদাবাজি  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে আটককৃত এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু মহানগর বিএনপি সদস্য সচিবের মামলায় ৫৩ জনের নামে, অজ্ঞাত ১৫০ নারায়ণগঞ্জ জেলায় ৫৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা না করায় অবৈধ ঘোষণা বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প সরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র হচ্ছে- বিকেএমইএর সভাপতি নানা আয়োজনে রিয়াদে এনটিভির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে আজ এনটিভির ২২তম জন্ম উৎসবের আয়োজন নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের সভাপতি হামলা শিকার মুক্তিযোদ্ধা চত্তরের স্মৃতি স্তম্ভ ভেঙে ফেলায় ক্ষোভ

গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি অপরিকল্পিত লকডাউন : কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১
  • ১২৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালুর সুযোগে গ্রামমুখি মানুষের ঢল নেমেছে। মহাসড়ক, ফেরিঘাটে করোনাকালের আগের ঈদগুলোর মতো উপচেপড়া ভিড় ও গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও অপিরিকল্পিত লকডাউন বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।

রবিবার (৯ মে) গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউন না দিয়ে সরকারের উচিত ছিল পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখা, অন্যথায় পরিপূর্ণ চালু রাখা। এতে বরং পরিবহনগুলো নিয়মকানুন মেনে যাত্রী পরিবহনে অনেকটাই বাধ্য হতো। সব পরিবহন চালু থাকলে এত ভিড় ও গাদাগাদিও হতো না। গ্রামমুখি মানুষের এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। বন্ধ ও খোলার মাঝামাঝি অবস্থায় ভালো কিছু হবে না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাকে গাদাগাদি করে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালু থাকলে যাত্রীরা সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমত।

তারা বলেন, দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চালুর রাখার নীতি সরকারের ভ্রান্তনীতি। যাদের গাড়ি আছে শুধু তাদের জন্য কেন সুযোগ থাকবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে বাস্তবে এ নিয়ম অকার্যকর; বরং প্রাইভেট গাড়িগুলো ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শহরের মানুষের ঈদে গ্রামে যাওয়ার আবেগ রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে বাস চালুর অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে মূলত তাদের গ্রামে যাওয়ার উস্কানি দেওয়া হয়েছে। জেলার মধ্যে গণপরিবহন চললে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়া সম্ভব।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে মানুষ সচেতন না হলে শুধু আইন করে, ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। বাস বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার চালু রাখলে গ্রামমুখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যাবে না। গত বছরের ঈদেও তা সম্ভব হয়নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি-ছাত্রদলের সংঘর্ষ আহত-৮

গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি অপরিকল্পিত লকডাউন : কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন

আপডেট সময় : ১০:৫৬:০৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন চালুর সুযোগে গ্রামমুখি মানুষের ঢল নেমেছে। মহাসড়ক, ফেরিঘাটে করোনাকালের আগের ঈদগুলোর মতো উপচেপড়া ভিড় ও গ্রামমুখি মানুষের দুর্ভোগের জন্য দায়ি সরকারের ভ্রান্ত নীতি ও অপিরিকল্পিত লকডাউন বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় কৃষক-শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন।

রবিবার (৯ মে) গনমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও সমন্বয়ক কৃষক মো. মহসীন ভুইয়া এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, অপরিকল্পিত লকডাউন না দিয়ে সরকারের উচিত ছিল পরিবহন একেবারেই বন্ধ রাখা, অন্যথায় পরিপূর্ণ চালু রাখা। এতে বরং পরিবহনগুলো নিয়মকানুন মেনে যাত্রী পরিবহনে অনেকটাই বাধ্য হতো। সব পরিবহন চালু থাকলে এত ভিড় ও গাদাগাদিও হতো না। গ্রামমুখি মানুষের এত দুর্ভোগ পোহাতে হত না। বন্ধ ও খোলার মাঝামাঝি অবস্থায় ভালো কিছু হবে না।

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দূরপাল্লা ও আন্তঃজেলার বাস, লঞ্চ, ট্রেন বন্ধ থাকায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ, ট্রাকে গাদাগাদি করে শহর ছেড়ে গ্রামে যাচ্ছেন। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি আরও বেড়েছে। অর্ধেক আসন খালি রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার বাস চালু থাকলে যাত্রীরা সরাসরি গন্তব্যে পৌঁছাতে পারতেন। এতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমত।

তারা বলেন, দূরপাল্লার গণপরিবহন বন্ধ রেখে প্রাইভেট গাড়ি চালুর রাখার নীতি সরকারের ভ্রান্তনীতি। যাদের গাড়ি আছে শুধু তাদের জন্য কেন সুযোগ থাকবে। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় প্রাইভেট গাড়িতে যেতে পুলিশের মুভমেন্ট পাস নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তবে বাস্তবে এ নিয়ম অকার্যকর; বরং প্রাইভেট গাড়িগুলো ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, শহরের মানুষের ঈদে গ্রামে যাওয়ার আবেগ রয়েছে। জেলার অভ্যন্তরে বাস চালুর অনুমতি দেওয়ার মাধ্যমে মূলত তাদের গ্রামে যাওয়ার উস্কানি দেওয়া হয়েছে। জেলার মধ্যে গণপরিবহন চললে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া যাওয়া সম্ভব।

তারা বলেন, প্রকৃত অর্থে মানুষ সচেতন না হলে শুধু আইন করে, ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে জনস্রোত ঠেকানো যাবে না। বাস বন্ধ রেখে প্রাইভেটকার চালু রাখলে গ্রামমুখো মানুষের স্রোত ঠেকানো যাবে না। গত বছরের ঈদেও তা সম্ভব হয়নি।