নারায়ণগঞ্জ ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

‘আল-কুদস’ দিবস এক মহাজাগরণের দিন : ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১
  • ১০১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : ফিলিস্তিন ও পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাসের দখলদার ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করতে আল কুদস দিবসকে এক মহাজাগরণের দিন হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদকে মুক্ত করার জন্য বিশ্ব মুসলিমদের জাগিয়ে তোলা ‘আল-কুদস’ দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

শুক্রবার (৭ মে) গণমাধ্যমে ‘আল-কুদস’ দিবস উপলক্ষে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবেলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এ দিবস।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের সূক্ষ্ চালের কারণে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের দিকে। কবে মুক্ত হবে আল কুদস। কবে মুসলমানরা আবার তাদের পুণ্যস্থান বায়তুল মোকাদ্দাসে স্বাধীনভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। কুদস দিবস মুসলমানদের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের চেতনাকে ক্রমেই শানিত করছে। মূলত আল কুদস দিবস এক মহাজাগরণের দিন। যে জাগরণের মূল চেতনা হলো- মুসলিম ঐক্য।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এবারের আল-কুদস দিবস যখন পালিত হতে যাচ্ছে তখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিস্থিতি ভিন্ন। মুসলমানেরা সব সময় ঈমানের শক্তিতেই নির্ভর করেছে, পরম করুণাময় আল্লাহর রহমতের ওপর আস্থা রেখেছে। এবারের আল-কুদস দিবস হয়তো মুসলমানদের সেই ঈমানি শক্তির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিতে যাচ্ছে। আল-কুদস দিবসে এবার প্রার্থনা হোক- হে আল্লাহ, তোমার কুদরতের ঝলকানিতে অতীতের মতো এখনো তোমার দ্বীন ও দ্বীনের ধারকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ইহুদি-নাসারাদের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে দাও।

উল্লেখ্য, আল-কুদস দিবস বা আন্তর্জাতিক ‘আল-কুদস’ দিবস (ফার্সি ভাষায়- روز جهانی قدس) প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার পালিত হয়ে থাকে, যা ১৯৭৯ সালে ইরানে শুরু হয়েছিল। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ, জায়ানবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ এবং ইসরাইল কর্তৃক জেরুযালেম দখলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। জেরুযালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল-কুদস’ (আরবী ভাষায়)।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

শীতলক্ষ্যায় তেলবাহী জাহাজের ট্যাংক বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৬

‘আল-কুদস’ দিবস এক মহাজাগরণের দিন : ন্যাপ

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : ফিলিস্তিন ও পবিত্র বায়তুল মোকাদ্দাসের দখলদার ইহুদিদের হাত থেকে মুক্ত করতে আল কুদস দিবসকে এক মহাজাগরণের দিন হিসাবে আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মুসলমানদের প্রথম কেবলা আল আকসা মসজিদকে মুক্ত করার জন্য বিশ্ব মুসলিমদের জাগিয়ে তোলা ‘আল-কুদস’ দিবসের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।

শুক্রবার (৭ মে) গণমাধ্যমে ‘আল-কুদস’ দিবস উপলক্ষে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এ মন্তব্য করেন।

তারা বলেন, মজলুম ফিলিস্তিনি জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা ইহুদি শাসন, শোষণ, নিপীড়ন ও তাদের নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অবসান ঘটানো এবং বায়তুল মোকাদ্দাসকে রাজধানী করে ফিলিস্তিন জাতির নিজস্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর মোকাবেলার জন্য মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে এ দিবস।

নেতৃদ্বয় বলেন, বিশ্বব্যাপী সাম্রাজ্যবাদীদের সূক্ষ্ চালের কারণে ফিলিস্তিন ও মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি দিন দিন অবনতি হচ্ছে। সারাবিশ্বের মুসলমানরা আজ তাকিয়ে আছে ফিলিস্তিনের দিকে। কবে মুক্ত হবে আল কুদস। কবে মুসলমানরা আবার তাদের পুণ্যস্থান বায়তুল মোকাদ্দাসে স্বাধীনভাবে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারবে। কুদস দিবস মুসলমানদের হারানো সম্মান পুনরুদ্ধারের চেতনাকে ক্রমেই শানিত করছে। মূলত আল কুদস দিবস এক মহাজাগরণের দিন। যে জাগরণের মূল চেতনা হলো- মুসলিম ঐক্য।

ন্যাপ নেতৃদ্বয় আরো বলেন, এবারের আল-কুদস দিবস যখন পালিত হতে যাচ্ছে তখন গোটা মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে ফিলিস্তিনের রাজনৈতিক ও কৌশলগত পরিস্থিতি ভিন্ন। মুসলমানেরা সব সময় ঈমানের শক্তিতেই নির্ভর করেছে, পরম করুণাময় আল্লাহর রহমতের ওপর আস্থা রেখেছে। এবারের আল-কুদস দিবস হয়তো মুসলমানদের সেই ঈমানি শক্তির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হিসেবে দেখা দিতে যাচ্ছে। আল-কুদস দিবসে এবার প্রার্থনা হোক- হে আল্লাহ, তোমার কুদরতের ঝলকানিতে অতীতের মতো এখনো তোমার দ্বীন ও দ্বীনের ধারকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী ইহুদি-নাসারাদের সকল ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের জাল ছিন্ন করে দাও।

উল্লেখ্য, আল-কুদস দিবস বা আন্তর্জাতিক ‘আল-কুদস’ দিবস (ফার্সি ভাষায়- روز جهانی قدس) প্রতি বছর রমজান মাসের শেষ শুক্রবার পালিত হয়ে থাকে, যা ১৯৭৯ সালে ইরানে শুরু হয়েছিল। এই দিবস পালনের উদ্দেশ্য হলো ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে একাত্মতা প্রকাশ, জায়ানবাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ এবং ইসরাইল কর্তৃক জেরুযালেম দখলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ। জেরুযালেম শহরের অপর নাম ‘কুদস’ বা ‘আল-কুদস’ (আরবী ভাষায়)।