নারায়ণগঞ্জ ০৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ সিদ্ধিরগঞ্জে দাবিকৃত চাঁদা না পেয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমন্বয়কে মারধর সোনারগাঁওয়ে গণিত অলিম্পিয়াড সিজন-১ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত জমকালো আয়োজনে সৌদি আরবের ৯৪তম জাতীয় দিবস ও স্বাধীনতা দিবস উদযাপন প্রি-পেইড মিটার বাতিল চেয়ে ৭ দিনের আল্টিমেটাম সিদ্ধিরগঞ্জের বিক্ষুব্দ গ্রাহকদের সিদ্ধিরগঞ্জের মামলার ফাঁদে চুনা কারখানা মালিকরা আড়াইহাজারে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর উদ্ধোধন চাঁদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত আড়াইহাজারে নৈরাজ্য, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির শান্তি সমাবেশ যৌথবাহিনীর অভিযান: আড়াইহাজারে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার

শিমড়াইলে লকডাউনের মধ্যে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে অটোরিকশা

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
  • ১৮৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল এলাকায় লকডাউনের মধ্যে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে চালকদের অটোরিকশা। কেউ চাঁদা না দিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল খানকা জামে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ রিকশা ভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মামুন খাঁনের নেতৃত্বে রকি মিয়া, সুমন মিয়া, সবুজ মিয়া,বাবুল মিয়া, নবী মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে ত্রিশ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। অপরদিকে ডেমরা চিটাগাংরোড সড়কে মনা মিয়া নামে এক ব্যক্তি অটো চালিত রিকশা থেকে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে এক শ বিশ টাকা এবং প্রতি মাসে প্রত্যেক গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে জানিয়েছেন অটোচালকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদা উত্তোলনকারী এক লাইনম্যান বলেন, প্রতি গাড়ি থেকে যে টাকা উঠানো হয় তার সিংহ ভাগই দিতে হয় সংগঠনের সভাপতি মামুন খাঁন ও তার সহযোগীদের। রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে দিন রাত পরিশ্রম করে টাকা উঠাই আমরা আর মজা খাঁয় অফিসে বসে মামুনরা।

অটোচালকরা জানান, কিছুদিন পূর্বে ময়লা সংস্কারের নামে মামুন মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকা করে মোট পঁচিশ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করলোও ময়লা সংস্কারের কোনো কাজ করেননি। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে সড়কের উপর। শুধু তাই নয় ময়লার স্তুপের থাকা ময়লার পঁচা গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে সকল যাত্রীদের।

অটোচালক সুমন মিয়া বলেন, করোনা মহামারিতে বৌ বাচ্চাদের চোখের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব থেকে কোনোভাবেই রক্ষা পাচ্ছি না আমরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।

কামাল নামে একজন অটোচালক বলেন, লকডাউনে পড়ে আমরা ভয়াভব সমস্যায় পড়ে আছি। সারাদিন অটো চালিয়ে খাবারের রুজি বের করতে পারি না। তার মধ্যে মরার মধ্যে খারার ঘাঁ। চাঁদা দিতে হচ্ছে চাঁদাবাজ বাহিনীকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন খাঁন জানান, আমরা মালিক সমিতির জন্য প্রতি গাড়ি থেকে নির্ধারিত হারে চাঁদা আদায় করে থাকি। এসকল টাকা থেকে লাইনম্যান ও অফিস খরচ চালানো হয়। করোনাকালীন সময়ে কিভাবে চাঁদা উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান (পিপিএমবার) জানান, পরিবহন চাঁদাবাজদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই অনেক চাঁদাবাজকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সোনারগাঁয়ে ৫১ তম বাংলাদেশ জাতীয় শিক্ষা ক্রীড়া পুরষ্কার বিতরণ

শিমড়াইলে লকডাউনের মধ্যে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে অটোরিকশা

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল এলাকায় লকডাউনের মধ্যে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে চালকদের অটোরিকশা। কেউ চাঁদা না দিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল খানকা জামে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ রিকশা ভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মামুন খাঁনের নেতৃত্বে রকি মিয়া, সুমন মিয়া, সবুজ মিয়া,বাবুল মিয়া, নবী মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে ত্রিশ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। অপরদিকে ডেমরা চিটাগাংরোড সড়কে মনা মিয়া নামে এক ব্যক্তি অটো চালিত রিকশা থেকে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে এক শ বিশ টাকা এবং প্রতি মাসে প্রত্যেক গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে জানিয়েছেন অটোচালকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদা উত্তোলনকারী এক লাইনম্যান বলেন, প্রতি গাড়ি থেকে যে টাকা উঠানো হয় তার সিংহ ভাগই দিতে হয় সংগঠনের সভাপতি মামুন খাঁন ও তার সহযোগীদের। রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে দিন রাত পরিশ্রম করে টাকা উঠাই আমরা আর মজা খাঁয় অফিসে বসে মামুনরা।

অটোচালকরা জানান, কিছুদিন পূর্বে ময়লা সংস্কারের নামে মামুন মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকা করে মোট পঁচিশ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করলোও ময়লা সংস্কারের কোনো কাজ করেননি। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে সড়কের উপর। শুধু তাই নয় ময়লার স্তুপের থাকা ময়লার পঁচা গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে সকল যাত্রীদের।

অটোচালক সুমন মিয়া বলেন, করোনা মহামারিতে বৌ বাচ্চাদের চোখের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব থেকে কোনোভাবেই রক্ষা পাচ্ছি না আমরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।

কামাল নামে একজন অটোচালক বলেন, লকডাউনে পড়ে আমরা ভয়াভব সমস্যায় পড়ে আছি। সারাদিন অটো চালিয়ে খাবারের রুজি বের করতে পারি না। তার মধ্যে মরার মধ্যে খারার ঘাঁ। চাঁদা দিতে হচ্ছে চাঁদাবাজ বাহিনীকে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন খাঁন জানান, আমরা মালিক সমিতির জন্য প্রতি গাড়ি থেকে নির্ধারিত হারে চাঁদা আদায় করে থাকি। এসকল টাকা থেকে লাইনম্যান ও অফিস খরচ চালানো হয়। করোনাকালীন সময়ে কিভাবে চাঁদা উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান (পিপিএমবার) জানান, পরিবহন চাঁদাবাজদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই অনেক চাঁদাবাজকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে।