সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল এলাকায় লকডাউনের মধ্যে চাঁদা দিয়ে চালাতে হচ্ছে চালকদের অটোরিকশা। কেউ চাঁদা না দিলে তাদেরকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমড়াইল খানকা জামে মসজিদের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জ রিকশা ভ্যান মালিক শ্রমিক সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মামুন খাঁনের নেতৃত্বে রকি মিয়া, সুমন মিয়া, সবুজ মিয়া,বাবুল মিয়া, নবী মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে ত্রিশ টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। অপরদিকে ডেমরা চিটাগাংরোড সড়কে মনা মিয়া নামে এক ব্যক্তি অটো চালিত রিকশা থেকে প্রতিদিন প্রতি গাড়ি থেকে এক শ বিশ টাকা এবং প্রতি মাসে প্রত্যেক গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় করছেন বলে জানিয়েছেন অটোচালকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চাঁদা উত্তোলনকারী এক লাইনম্যান বলেন, প্রতি গাড়ি থেকে যে টাকা উঠানো হয় তার সিংহ ভাগই দিতে হয় সংগঠনের সভাপতি মামুন খাঁন ও তার সহযোগীদের। রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে দিন রাত পরিশ্রম করে টাকা উঠাই আমরা আর মজা খাঁয় অফিসে বসে মামুনরা।
অটোচালকরা জানান, কিছুদিন পূর্বে ময়লা সংস্কারের নামে মামুন মিয়া প্রতি অটোরিকশা থেকে পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকা করে মোট পঁচিশ হাজার টাকা চাঁদা উত্তোলন করলোও ময়লা সংস্কারের কোনো কাজ করেননি। সামান্য বৃষ্টি হলে হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে থাকে সড়কের উপর। শুধু তাই নয় ময়লার স্তুপের থাকা ময়লার পঁচা গন্ধে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যায় না। নাকে রুমাল দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারী থেকে শুরু করে সকল যাত্রীদের।
অটোচালক সুমন মিয়া বলেন, করোনা মহামারিতে বৌ বাচ্চাদের চোখের দিকে তাকিয়ে রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু চাঁদাবাজদের দৌরাত্ব থেকে কোনোভাবেই রক্ষা পাচ্ছি না আমরা। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি আমরা।
কামাল নামে একজন অটোচালক বলেন, লকডাউনে পড়ে আমরা ভয়াভব সমস্যায় পড়ে আছি। সারাদিন অটো চালিয়ে খাবারের রুজি বের করতে পারি না। তার মধ্যে মরার মধ্যে খারার ঘাঁ। চাঁদা দিতে হচ্ছে চাঁদাবাজ বাহিনীকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মামুন খাঁন জানান, আমরা মালিক সমিতির জন্য প্রতি গাড়ি থেকে নির্ধারিত হারে চাঁদা আদায় করে থাকি। এসকল টাকা থেকে লাইনম্যান ও অফিস খরচ চালানো হয়। করোনাকালীন সময়ে কিভাবে চাঁদা উত্তোলন করছেন এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক মশিউর রহমান (পিপিএমবার) জানান, পরিবহন চাঁদাবাজদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ইতিমধ্যেই অনেক চাঁদাবাজকে আটক করে মামলা দেওয়া হয়েছে।