নারায়ণগঞ্জ ১১:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৪ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আড়াইহাজারে প্রতিপক্ষের বাড়ীতে হামলায় আহত ৪ যতক্ষণ তারেক জিয়া দেশে না আসবে ততক্ষণ রাজপথ ছাড়বোনা : মামুন মাহমুদ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহানের রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লীতে ফ্যাসিবাদের দোসরদের রোষানলে জিয়াউল হক সিদ্ধিরগঞ্জে ভূমি পল্লীবাসীকে জিম্মি করতে মরিয়া ফ্যাসিবাদের দোসররা, জিয়াউল হককে নিয়ে চালাচ্ছে অপপ্রচার টঙ্গীতে সাংবাদিককে কুপিয়ে জখম, থানায় মামলা আড়াইহাজারে লিজকৃত সম্পত্তির বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের বিচার পতির সাথে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাক্ষাৎ রূপগঞ্জে ইয়াবাসহ জিয়া মঞ্চ দলের নেতা গ্রেফতার মহানগর কৃষকদলের সভাপতি এনামুল হক স্বপন ও সাইফুদ্দিন মাহমুদ ফয়সাল কে হাসান আল মামুনের শুভেচ্ছা

গার্মেন্টস ও কারখানা খোলা রেখে কি কঠিন লকডাউন সম্ভব : ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১
  • ১৬৯ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি : গার্মেন্টস ও সকল শিল্প কারখানা খোলা রেখে কি কঠিন লকডাউন সম্ভব? নাকি এধরনের লক ডাউন হবে সাধারন মানুষের সাথে পরিহাশ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কারখানার শ্রমিকরা এই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলেও তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা সবসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে দেশের সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখা এবং শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ করার মধ্য দিয়ে তাদের ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উপরোক্ত দাবী জানান।

তারা বলেন, সরকারের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতায় পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। করোনাকালে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া এবং গণপরিবহন ও মার্কেটগুলো একবার বন্ধ করে আবার খুলে দেওয়া, প্রণোদনার নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবার লকডাউনের নামে যদি গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলা হয় তাহলে তা হবে সাধারন মানুষের সাথে পরিহাসের নামান্তর মাত্র।

নেতৃদ্বয় বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। রমজানের শুরুতেই লকডাউনের ঘোষণা আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ সমস্যায় পড়বে সবচাইতে বেশি। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মহীন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত সরকারের।

তারা আরো বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ বাড়েনি জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আয়োজন। ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ৩২২টি ও ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১১০টি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড মানে একটা ব্যবসা। আইসিইউ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।

নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা ও জনবল বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

আড়াইহাজারে প্রতিপক্ষের বাড়ীতে হামলায় আহত ৪

গার্মেন্টস ও কারখানা খোলা রেখে কি কঠিন লকডাউন সম্ভব : ন্যাপ

আপডেট সময় : ১১:৫০:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ এপ্রিল ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি : গার্মেন্টস ও সকল শিল্প কারখানা খোলা রেখে কি কঠিন লকডাউন সম্ভব? নাকি এধরনের লক ডাউন হবে সাধারন মানুষের সাথে পরিহাশ মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, কারখানার শ্রমিকরা এই দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হলেও তাদের জীবন ও স্বাস্থ্যনিরাপত্তা সবসময় উপেক্ষা করা হয়েছে। এই আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে দেশের সব নাগরিকের প্রতি সমান আচরণ করতে হবে। লকডাউনে কারখানা বন্ধ রাখা এবং শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধ করার মধ্য দিয়ে তাদের ঘরে থাকা এবং স্বাস্থ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

সোমবার (১২ এপ্রিল) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় উপরোক্ত দাবী জানান।

তারা বলেন, সরকারের উদাসীনতা, অব্যবস্থাপনা ও সিদ্ধান্তহীনতায় পরিস্থিতি ক্রমাগত অবনতির দিকে যাচ্ছে। করোনাকালে পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া এবং গণপরিবহন ও মার্কেটগুলো একবার বন্ধ করে আবার খুলে দেওয়া, প্রণোদনার নামে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আবার লকডাউনের নামে যদি গার্মেন্টস ও শিল্প কারখানা খোলা হয় তাহলে তা হবে সাধারন মানুষের সাথে পরিহাসের নামান্তর মাত্র।

নেতৃদ্বয় বলেন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। রমজানের শুরুতেই লকডাউনের ঘোষণা আসছে। এমন পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ সমস্যায় পড়বে সবচাইতে বেশি। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কর্মহীন দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিশেষ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করা উচিত সরকারের।

তারা আরো বলেন, দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে, বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। অথচ বাড়েনি জনগণের প্রয়োজন অনুযায়ী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার আয়োজন। ঢাকায় সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড ৩২২টি ও ঢাকার বাইরে সারাদেশে ১১০টি। বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সাধারণ জনগণের নাগালের বাইরে। বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ বেড মানে একটা ব্যবসা। আইসিইউ পরিচালনার জন্য পর্যাপ্ত ডাক্তার-নার্স ও সাপোর্টিং স্টাফদের সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি।

নেতৃদ্বয় বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জনস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য খাতে সরকারের বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন। সরকারি হাসপাতালে কোভিড ওয়ার্ডে বেড ও আইসিইউ বেডের সংখ্যা ও জনবল বৃদ্ধি এবং হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন সিলিন্ডার, ট্রলি, হুইল চেয়ার সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।