সিদ্বিরগঞ্জ প্রতিনিধি : করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের লাশ পড়েছিল পথেঘাটে ও বাড়ির আঙিনায়। সংক্রমণের ভয়ে স্বজন ও প্রতিবেশীরা কেউ লাশ দাফনে এগিয়ে আসেনি। সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে লাশ দাফন ও সৎকারে এগিয়ে আসেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে সস্ত্রীক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।সুস্থ হয়ে আবারও কোভিড-১৯ রোগীদের লাশ দাফনের কাজ করেছেন করোনা বীর উপাধি পাওয়া খোরশেদ।
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকার হাজী নাজিম উদ্দীন (৭০) রোববার রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। সংক্রমণের ঝুঁকি থাকায় তার পরিবার ‘টিম খোরশেদ ‘কে লাশ দাফনের আহ্বান জানায়।
খবর পেয়ে সেই খোরশেদ ও তার টিম সোমবার (৫ এপ্রিল) বাদ ফজর সিদ্ধিরগঞ্জে এসে ওই লাশ দাফন করেন।
সোমবার রাত সাড়ে ১২ টায় একটি ফোন কল আসে কাউন্সিলর খোরশেদের মোবাইলে। ফোন রিসিভ করার পর অপরপ্রান্ত থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা মৃতদেহকে গোসল ও দাফনের কোন লোক পাওয়া যাচ্ছে না। তাই লাশ দাফনে তার সহযোগীতা চায় মৃত ব্যক্তির পরিবার।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর খোরশেদ জানান,খবর পেয়েই ‘টিম খোরশেদ”র স্বেচ্ছাসেবকরা বাদ ফজর মরহুমের গোসল ও জানাজা শেষে সিদ্ধিরগঞ্জ কেন্দ্রীয় কবরস্থানে লাশ দাফন করে।
এসময় কাউন্সিলর খোরশেদের টিমে আরো উপস্থিত ছিলেন হাফেজ শিব্বির, নাজমুল কবীর নাহিদ,হাফেজ রিয়াদ,আনোয়ার হোসেন,সুমন দেওয়ান,মোঃনকীব ও নাঈম মোল্লা।
সোমবার বাদ ফজর দাফন করা লাশ নিয়ে এ পর্যন্ত খোরশেদ ও তার দল ১৬৩ টি লাশ দাফন করলো।
উল্লেখ্য,সিদ্ধিরগঞ্জে এর আগেও ১০ টি লাশ দাফন করেন ‘টিম খোরশেদ।