নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট রিয়াদে প্রবাসী লেখকের ১০ম বইয়ের মোড়ক উন্মোচন সোনারগাঁয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ মিছিলে মহাসড়ক অবরোধ পাইনাদী নতুন মহল্লা সমাজকল্যাণ সংস্থার কার্যালয় উদ্বোধন সিদ্ধিরগঞ্জে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষক গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জের মহাসড়ক যেন ময়লার ভাগাড়,দূষিত পরিবেশে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি আড়াইহাজারে ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় ৮ জন গ্রেপ্তার সিদ্ধিরগঞ্জে মিতালী মার্কেটের অর্থ আত্নসাত করেও অপপ্রচারে লিপ্ত জামান সোনারগাঁ জামপুরে খোকার সন্ত্রাসী হামলায় দলিল লেখক রতন আহত র্যাবের হাতে চাদাঁবাজির টাকাসহ ৬ চাদাঁবাজ গ্রেফতার

সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ১৯ কেজি গাজাসহ ঢাকায় গ্রেফতার

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার :  নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ পরিচয়ধারী টাইগার ফারুকের ম্যানেজার যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী মিলনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ১৯ কেজি গঁাজাসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩’র সদস্যরা। এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১৯ কেজি গঁাজা, একটি প্রাইভেটকার, ৩টি মোবাইল ফোন এবং ৪টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা ইসমাঈলের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি পাগলাবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন আমিজ উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন (২৯), তার ভায়রা মোশারফ হোসেন (২৮) ও সহযোগী মহিন উদ্দিন হোসেন হৃদয় (১৯)।

শনিবার বিকালে গ্রেফতারকৃতদের পল্টন মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব-৩’র পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩’র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা একটি প্রাইভেটকারযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজঁার একটি চালান নিয়ে কুমিল্লা হতে ঢাকা অভিমুখে বহন করে নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩’র একটি আভিযানিক দল রাতে নয়াপল্টন এলাকায় একটি বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মিলন, তার ভায়রা মোশারফ হোসেন ও সহযোগী মহিন উদ্দিন হোসেন হৃদয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে র‍্যাবের নিকট স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ পরিচয়ধারী টাইগার ফারুকের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছে। টাইগার ফারুক নিজেকে সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানাবিধ অপকর্ম করে বেরাচ্ছে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি টিসিরোড ইউরো টাওয়ার এলাকায় একটি অফিস নিয়ে সেখানে ওয়ার্ড যুবলীগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে জাহির করে লোক চক্ষুর আড়ালে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে । টাইগার ফারুকের বাবা আবু সাঈদ বিএনপির শ্রমিক দলের নেতা ছিলেন। তার ছোট ভাই জুয়েল ছাত্রদল নেতা এবং অপর ভাই জসিম এলাকার একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও একাধিক মামলার আসামী। তারা তিন ভাইসহ এক সময়ের আদমজী জুট মিলের লোহা চোর ও বিএনপির দুধর্ষ সন্ত্রাসী আকরামের সহযোগী মোটা কবির ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের পরিচয়ধারী সাকাওয়াত হোসেন সাকু সহ কিছু ছদ্মবেশী দুস্কৃতিকারীকে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট তৈরী করে গড়ে তুলেছে মাদকের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা। এসব ব্যবসাকে বহাল তবিয়তে চালিয়ে নিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের গুটি কয়েক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে তারা বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অবৈধ কর্মকান্ড। এলাকায় ছিনতাই, চঁাদাবাজী ও মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করতে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে ব্যবহার করে প্রকাশ্যে নাকের ঢগায় চালিয়ে যাচ্ছে এই অপকর্ম। এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের ভয়ে তটস্থ। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কারণ তারা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। একে একে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে গ্রেফতার হওয়াতে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল।

এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি জানান, এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জ আ’ লীগের গর্বের দুর্গের দুর্বলতা স্পষ্ট

সিদ্ধিরগঞ্জের ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে ১৯ কেজি গাজাসহ ঢাকায় গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ এপ্রিল ২০২১

স্টাফ রিপোর্টার :  নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ পরিচয়ধারী টাইগার ফারুকের ম্যানেজার যুবলীগ নেতা পরিচয়ধারী মিলনসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে ১৯ কেজি গঁাজাসহ গ্রেফতার করেছে র‍্যাব। গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৩’র সদস্যরা। এসময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১৯ কেজি গঁাজা, একটি প্রাইভেটকার, ৩টি মোবাইল ফোন এবং ৪টি সীমকার্ড উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা ইসমাঈলের ছেলে, বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি পাগলাবাড়ী মসজিদ সংলগ্ন আমিজ উদ্দিনের বাড়ির ভাড়াটিয়া মিলন (২৯), তার ভায়রা মোশারফ হোসেন (২৮) ও সহযোগী মহিন উদ্দিন হোসেন হৃদয় (১৯)।

শনিবার বিকালে গ্রেফতারকৃতদের পল্টন মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র‍্যাব-৩’র পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

র‍্যাব-৩’র সহকারী পুলিশ সুপার ফারজানা হক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, মাদক ব্যবসায়ীরা একটি প্রাইভেটকারযোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাজঁার একটি চালান নিয়ে কুমিল্লা হতে ঢাকা অভিমুখে বহন করে নিয়ে আসছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩’র একটি আভিযানিক দল রাতে নয়াপল্টন এলাকায় একটি বিশেষ চেকপোষ্ট স্থাপনের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী মিলন, তার ভায়রা মোশারফ হোসেন ও সহযোগী মহিন উদ্দিন হোসেন হৃদয়কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে র‍্যাবের নিকট স্বীকার করেছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গ্রেফতারকৃত মিলন সিদ্ধিরগঞ্জের যুবলীগ পরিচয়ধারী টাইগার ফারুকের ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে আসছে। টাইগার ফারুক নিজেকে সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা পরিচয় দিয়ে নানাবিধ অপকর্ম করে বেরাচ্ছে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের এক নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি টিসিরোড ইউরো টাওয়ার এলাকায় একটি অফিস নিয়ে সেখানে ওয়ার্ড যুবলীগের প্রধান কার্যালয় হিসেবে জাহির করে লোক চক্ষুর আড়ালে অপরাধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে । টাইগার ফারুকের বাবা আবু সাঈদ বিএনপির শ্রমিক দলের নেতা ছিলেন। তার ছোট ভাই জুয়েল ছাত্রদল নেতা এবং অপর ভাই জসিম এলাকার একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী ও একাধিক মামলার আসামী। তারা তিন ভাইসহ এক সময়ের আদমজী জুট মিলের লোহা চোর ও বিএনপির দুধর্ষ সন্ত্রাসী আকরামের সহযোগী মোটা কবির ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের পরিচয়ধারী সাকাওয়াত হোসেন সাকু সহ কিছু ছদ্মবেশী দুস্কৃতিকারীকে নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ সিন্ডিকেট তৈরী করে গড়ে তুলেছে মাদকের পাইকারী ও খুচরা ব্যবসা। এসব ব্যবসাকে বহাল তবিয়তে চালিয়ে নিতে স্থানীয় আওয়ামীলীগের গুটি কয়েক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ম্যানেজ করে তারা বীর দর্পে চালিয়ে যাচ্ছে এসব অবৈধ কর্মকান্ড। এলাকায় ছিনতাই, চঁাদাবাজী ও মাদক ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রন করতে তারা কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদেরকে ব্যবহার করে প্রকাশ্যে নাকের ঢগায় চালিয়ে যাচ্ছে এই অপকর্ম। এলাকায় সাধারণ মানুষ তাদের ভয়ে তটস্থ। কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কারণ তারা আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। একে একে এই সিন্ডিকেটের সদস্যরা মাদকের বড় বড় চালান নিয়ে গ্রেফতার হওয়াতে বেড়িয়ে আসছে থলের বিড়াল।

এ বিষয়ে কথা হলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা যুবলীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতি জানান, এক নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের কোন কমিটি গঠন করা হয়নি।