সিদ্বিরগঞ্জ প্রতিনিধি : হেফাজতের সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে গত রোববার নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নাশকতার ঘটনায় ৬ (ছয়) টি মামলা হয়েছে৷
সোমবার (২৯ মার্চ) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ বাদী হয়ে পাঁচটি এবং ব়্যাব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে৷ প্রত্যেক মামলায় ২৫-৩০ জন এজাহারনামীয় আসামি এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে৷
সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান৷
তিনি জানান, গত রাতে মামলাগুলো রুজু করা হয়েছে৷ ব়্যাব ও পুলিশের পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে নাশকতার অভিযোগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে৷ অপর একটি মামলা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে পুলিশের উপর হামলা ও আহত করার অভিযোগে করা হয়েছে৷ তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি৷ তবে ব়্যাব-পুলিশের কয়েকটি টিম নাশকতাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে৷ সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে৷
রোববার হেফাজতের ডাকা হরতালে স্বাভাবিক ছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা ও উপজেলা শহরগুলো৷ কিন্তু সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে৷ তারা এই মহাসড়কে রীতিমতো তান্ডব চালায়৷ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কে প্রায় ১৮টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়৷ নির্বিচারে চলে ভাঙচুর৷ দফায় দফায় বিজিবি-পুলিশের সাথে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে৷ এতে পুলিশ-সাংবাদিকসহ অর্ধশতাধিক৷
হরতাল চলাকালীন সময়ের পুরো সময়জুড়ে সাংবাদিক উপর চড়াও ছিল পিকেটাররা৷ তারা অন্তত ১২ জন সাংবাদিককে মারধর ও দু’টি মিডিয়ার গাড়ি ভাঙচুর করেছে৷ মহাসড়কটি ভোর থেকে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত পর্যন্ত ছিল হরতাল সমর্থকদের দখলে৷
পুলিশের তথ্যমতে, এই সময়ের মধ্যে ১৮টি ট্রাক, বাস, কাভার্ডভ্যানে আগুন, নির্বিচারে যানবাহনে ভাঙচুর, সাংবাদিকদের মারধর করেছে হেফাজতের পিকেটাররা৷ এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় ৪০০০ রাউন্ড গুলি (রাবার, সিসা, চাইনিজ রাইফেল) ছুড়েছে পুলিশ। প্রায় এক থেকে দেড়শ কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করা হয়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৬টি মামলা দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত এই মামলায় কোন আসামী গ্রেফতার হয় নাই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান ৷