নারায়ণগঞ্জ ১০:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক

পানি ব্যবসায় পোষায়না তাই তিনি ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯
  • ১৬৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ এইচএসসি পাস করে একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন মোস্তাক আহমেদ করিম। পরে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফার্ণিচার ব্যবসা। সফল হতে না পেরে পানি বোতলজাত করে পাড়া মহল্লার দোকানে নিজেই সরবরাহ করেন। পানি ব্যবসাও আলোর মূখ দেখছেনা। তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করে বিকেলে কয়েকটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে বসে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন তিনি। ফি নেন দুইশ টাকা।

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় হক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিউ মুক্তি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখার সময় গত সোমবার রাত ৯ টায় ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিমকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। অভিযানের সময় ৫ জন রোগী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন ছিলেন পুরনো রোগী। তারা আসছেন ডাক্তারের দেয়া এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে।

ধৃত করিম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার সালেহাকান্দি এলাকার মৃত রহিম মন্ডলের ছেলে। ভাড়া থাকের ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায়। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে নামে মাত্র একটি ভূয়া কারখানা গড়ে তুলে পানি ব্যবসা করেন। নলকুপের পানি বোতলে ভরে মিনারেল বলে বিক্রি করেন করিম। তার এ প্রতারনা বিষয়ে অনেকই অবগত। তাই তার পানি বেশি বিক্রি হয়না।

নিজের দোষ স্বীকার করে ভূয়া ডাক্তার করিম জানান,তিনি ডাক্তার না। তার নামের সাথে মিল থাকা সরকারি নিবন্ধনকৃত (২৬৬৩৩ নং) ডাক্তার মো: মোস্তাক আহমেদ এর কোড ব্যবহার করে নিজেকে এমবিবিএস(ডি-অর্থো),পিজিটি(ডি-অর্থো),পিজিটি(ইমনটি ও হৃদরোগ), চীফ মেডিকেল অফিসার,হাড়জোড়া, বাত ব্যাথা, মেরুদন্ড বিশেজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে প্যাড ছাপিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখে আসছেন। বসেন বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। এমন কাজ আর জীবনে করবেনা দুই কান ধরে প্রতিশ্রতি দিয়ে তাকে আটক না করে অর্থ জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য র‌্যাব কর্মকর্তাদের অনুরোধও করেন এই ভূয়া ডাক্তার।

সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ভূমিপল্লীর আবদুল আলীম ও পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার শাহজালাল জানান, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালালদের প্রলোভনে পরে ভাল ডাক্তার মনে করেই মোস্তাক আহমেদ করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রথম দিনে কিছু ওষুধ আর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছিল। সেই সব পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আবার ডাক্তারকে দেখাতে তারা এসেছেন। রিপোর্টক দেখানোর আগেই র‌্যাব অভিযান চালায় বলে জানায় তারা।

র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরধারীতে নিশ্চিত হয়ে নিউ মুক্তি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এক সময়ের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী এইচএসসি পাস ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিমকে রোগী দেখার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে রাজউকের অভিযানে ক্ষুব্ধ ভবন মালিকরা

পানি ব্যবসায় পোষায়না তাই তিনি ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন

আপডেট সময় : ১১:২৯:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ এইচএসসি পাস করে একটি ওষুধের দোকানে চাকরি করতেন মোস্তাক আহমেদ করিম। পরে চাকরি ছেড়ে শুরু করেন ফার্ণিচার ব্যবসা। সফল হতে না পেরে পানি বোতলজাত করে পাড়া মহল্লার দোকানে নিজেই সরবরাহ করেন। পানি ব্যবসাও আলোর মূখ দেখছেনা। তাই সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পানি সরবরাহ করে বিকেলে কয়েকটি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে বসে এমবিবিএস ডাক্তার সেজে রোগী দেখেন তিনি। ফি নেন দুইশ টাকা।

সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় হক সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিউ মুক্তি ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখার সময় গত সোমবার রাত ৯ টায় ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিমকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। অভিযানের সময় ৫ জন রোগী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন ছিলেন পুরনো রোগী। তারা আসছেন ডাক্তারের দেয়া এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে।

ধৃত করিম কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানার সালেহাকান্দি এলাকার মৃত রহিম মন্ডলের ছেলে। ভাড়া থাকের ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায়। তিনি সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলে হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে নামে মাত্র একটি ভূয়া কারখানা গড়ে তুলে পানি ব্যবসা করেন। নলকুপের পানি বোতলে ভরে মিনারেল বলে বিক্রি করেন করিম। তার এ প্রতারনা বিষয়ে অনেকই অবগত। তাই তার পানি বেশি বিক্রি হয়না।

নিজের দোষ স্বীকার করে ভূয়া ডাক্তার করিম জানান,তিনি ডাক্তার না। তার নামের সাথে মিল থাকা সরকারি নিবন্ধনকৃত (২৬৬৩৩ নং) ডাক্তার মো: মোস্তাক আহমেদ এর কোড ব্যবহার করে নিজেকে এমবিবিএস(ডি-অর্থো),পিজিটি(ডি-অর্থো),পিজিটি(ইমনটি ও হৃদরোগ), চীফ মেডিকেল অফিসার,হাড়জোড়া, বাত ব্যাথা, মেরুদন্ড বিশেজ্ঞ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে প্যাড ছাপিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিয়ে বিগত ১৫ বছর ধরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখে আসছেন। বসেন বিভিন্ন ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে। এমন কাজ আর জীবনে করবেনা দুই কান ধরে প্রতিশ্রতি দিয়ে তাকে আটক না করে অর্থ জরিমানা করে ছেড়ে দেওয়ার জন্য র‌্যাব কর্মকর্তাদের অনুরোধও করেন এই ভূয়া ডাক্তার।

সিদ্ধিরগঞ্জের আটি ভূমিপল্লীর আবদুল আলীম ও পাইনাদী নতুন মহল্লা এলাকার শাহজালাল জানান, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের দালালদের প্রলোভনে পরে ভাল ডাক্তার মনে করেই মোস্তাক আহমেদ করিমের কাছে চিকিৎসা নিতে আসেন। প্রথম দিনে কিছু ওষুধ আর কয়েকটি পরীক্ষা দিয়েছিল। সেই সব পরীক্ষার রিপোর্ট নিয়ে আবার ডাক্তারকে দেখাতে তারা এসেছেন। রিপোর্টক দেখানোর আগেই র‌্যাব অভিযান চালায় বলে জানায় তারা।

র‌্যাব-১১ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরধারীতে নিশ্চিত হয়ে নিউ মুক্তি ডায়গনষ্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। এক সময়ের ফার্ণিচার ব্যবসায়ী এইচএসসি পাস ভূয়া এমবিবিএস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিমকে রোগী দেখার সময় হাতে নাতে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।