নারায়ণগঞ্জ ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ

রক্তে ভেজা সড়ক : এর শেষ কোথায় ? : বাংলাদেশ ন্যাপ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১
  • ১২০ বার পড়া হয়েছে

রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন নিহতের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে বার বার প্রমানিত হচ্ছে সড়ক পথে নৈরাজ্য চলছেই। প্রতিদিনই কারও না কারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ। কবে বন্ধ হবে এই নৈরাজ্য।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, সড়ক পথে নৈরাজ্যের কারণে অনেক সম্ভাবনাময় প্রাণ ঝরে যাচ্ছে প্রতিদিন- এর যেন কোনো শেষ নেই, বিচার নেই। সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধে শুধু আইন করলেই চলবে না পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের মানসিকতা পরিবর্তন করার দায়িত্ব যাদের তাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। একই ধরনের ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য এবং এর প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার জন্যই বারবার এই সকল হত্যাকান্ড ঘটছে। সরকার যদি এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা না করে তাহলে এই ধরনের হত্যাকান্ড কমানো যাবে না।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত বছরের জুলাই ও চলতি বছরের ১৯ মার্চ দুটি সড়ক দুর্ঘটনার পর ছাত্ররা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলায় তারাই এখন বেপরোয়া পরিবহন শ্রমিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ ও বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করা যায়নি।

তারা বলেন, মূলত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতার কাছে প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া এর পেছনে বিআরটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এক শ্রেণীর পুলিশ সদস্যর অনিয়ম-দুর্নীতিও রয়েছে। ফলে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা কঠোর নির্দেশনায়ও গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে না। এ অসহনীয় পরিস্থিতিতে সারা দেশে সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা নিরসন এবং সড়ক দুর্ঘটনা ও অনাকাংখিত প্রাণহানি হ্রাসে সড়কে সেনাবাহিনী নামানো উচিত। তা না হলে সড়কে এভাবে প্রাণ ঝরতেই থাকবে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

কাঁচপুর হাইওয়ে থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে মহাসড়কে অপকর্ম চাঁদাবাজি

রক্তে ভেজা সড়ক : এর শেষ কোথায় ? : বাংলাদেশ ন্যাপ

আপডেট সময় : ১১:০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ নভেম্বর ২০২১

রামপুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন নিহতের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে বার বার প্রমানিত হচ্ছে সড়ক পথে নৈরাজ্য চলছেই। প্রতিদিনই কারও না কারও রক্তে রঞ্জিত হচ্ছে রাজপথ। কবে বন্ধ হবে এই নৈরাজ্য।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তারা এসব কথা বলেন।

তারা বলেন, সড়ক পথে নৈরাজ্যের কারণে অনেক সম্ভাবনাময় প্রাণ ঝরে যাচ্ছে প্রতিদিন- এর যেন কোনো শেষ নেই, বিচার নেই। সড়ক পরিবহনের নৈরাজ্য বন্ধে শুধু আইন করলেই চলবে না পাশাপাশি আইনের সঠিক প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। পরিবহন চালক ও শ্রমিকদের মানসিকতা পরিবর্তন করার দায়িত্ব যাদের তাদের কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে। একই ধরনের ঘটনা বারবার পুনরাবৃত্তি হওয়ার জন্য এবং এর প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা না নেয়ার জন্যই বারবার এই সকল হত্যাকান্ড ঘটছে। সরকার যদি এই বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে সমাধান করার চেষ্টা না করে তাহলে এই ধরনের হত্যাকান্ড কমানো যাবে না।

নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত বছরের জুলাই ও চলতি বছরের ১৯ মার্চ দুটি সড়ক দুর্ঘটনার পর ছাত্ররা দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলায় তারাই এখন বেপরোয়া পরিবহন শ্রমিকদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। পুলিশ ও বিআরটিএসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলো সারা দেশে সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা সত্ত্বেও সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা দূর করা যায়নি।

তারা বলেন, মূলত রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কিছু পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতার কাছে প্রশাসন অসহায় হয়ে পড়েছে। এছাড়া এর পেছনে বিআরটিএ’র কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী ও এক শ্রেণীর পুলিশ সদস্যর অনিয়ম-দুর্নীতিও রয়েছে। ফলে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত কিংবা কঠোর নির্দেশনায়ও গণপরিবহন খাতে শৃঙ্খলা ফিরছে না। এ অসহনীয় পরিস্থিতিতে সারা দেশে সড়ক পরিবহন খাতে বিরাজমান বিশৃঙ্খলা নিরসন এবং সড়ক দুর্ঘটনা ও অনাকাংখিত প্রাণহানি হ্রাসে সড়কে সেনাবাহিনী নামানো উচিত। তা না হলে সড়কে এভাবে প্রাণ ঝরতেই থাকবে।