শহর প্রতিনিধি ঃ নারায়ণগঞ্জ শহরের উত্তর চাষাড়া, চানমারী এলাকার সায়েম আক্তার ভূঁইয়া (৪৫) নামের এক প্রতারক ৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে বলে জানা যায়। সায়েম আক্তার ভূঁইয়া ঢাকার শাহাজাদপুর, গুলশান এলাকায় অবস্থিত পলমল গ্রুপে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে একই প্রতিষ্ঠানের রেফাদুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারক সায়েম আক্তার ভূঁইয়া চাকরির পাশাপাশি ব্যবসার নামে এক মাসের কথা বলে বাদী রেফাদুল ইসলাম এর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ধার নেয়। কিন্তু বছর ঘুরে এলোও বাদীর পাওনা টাকা বিবাদী প্রতারক সায়েম না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে এবং টাকা চাইলে হুমকি প্রদান করে করে বলে বাদী অভিযোগে উল্লেখ করেছেন।
এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানায় রেফাদুল ইসলাম আকন্দ (৩৯) নামের একজন ব্যাক্তি একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যাহার অভিযোগ নং- ৭৮৮৭
প্রতারক সায়েম চাষাড়ার চাঁনমারী মফিজুল ইসলাম আবাসিক এলাকার ১২ নং (মিশুদের বাড়িতে ) থাকেন বলে জানা যায়। তার বাবার নাম ওয়ালী আহমেদ ভুইয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী সায়মা আক্তার ভুঁইয়া একজন প্রতারক। বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দেবাশীষ কুন্ডু বাদী ও বিবাদী দুজনকে সমাধানের জন্য ডাকলে দুজনে থানায় উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতিতে বিবাদী প্রতারক সায়েম স্বীকার করেন যে, তিনি বাদীর কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা ব্যবসার কাজে ধার নিয়েছেন, এবং তা এক মাস পর ফেরত দেওয়ার কথা ছিল বলে তিনি স্বীকার করেন।
এমতাবস্থায় বিবাদী প্রতারক সায়েম পুলিশের উপস্থিতিতে বাদী রেফাদুলকে ৫ লাখ টাকা ফেরত দেয়ার একটি চুক্তিনামা দলিল করেন। চুক্তিনামা দলিলে বাদীকে পাওনা টাকার মধ্যে দুই লক্ষ টাকা ১৪ অক্টোবর দেয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও বিবাদী প্রতারক সায়েম তার আগেই শহর ছেড়ে উধাও হয়ে যায়।
পুলিশের উপপরিদর্শক দেবাশীষ কুন্ড সাংবাদিকদের জানান, চুক্তিনামা অনুযায়ী ১৪ অক্টোবর বাদীর পাওনা ৫ লাখ টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা দেয়ার কথা থাকলে আমি বিবাদী সায়েমকে মোবাইলে কল দেই কিন্তু ফোন বন্ধ পাই। চুক্তিনামা ভঙ্গ করে বিবাদী যে অন্যায় করেছেন তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে তৎপর রয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।