নারায়ণগঞ্জ ০৬:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি প্রেসক্লাবের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত রিয়াদে সিলেট সদর উপজেলা প্রবাসীদের উদ্যোগে সংবর্ধণা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত ইনভেস্টার নজরুল ইসলামের রিয়াদ গালফ টুলেডো রেষ্টুরেন্টে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রূপগঞ্জে ৬ দিনেও নিখোঁজ ব্যবসায়ীর সন্ধান মেলেনি রিয়াদে বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে ব্যাচ ৯৫-৯৭ এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সৌদি আরবে বিএনপির দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত এতিমদের সন্মানে প্রবাসী সাংবাদিক ফারুক চানের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে দালালরা দিচ্ছে পুলিশ ভেরিফিকেশন!

আজ মহান বিজয় দিবস

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭
  • ৩০৫ বার পড়া হয়েছে

আবারো বছর ঘুরে ফিলে এল বাঙালী জাতির সেই গৌরবে গাঁথা দিনটি। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশকে পাকহানাদার মুক্ত করে বাঙলার দামাল সন্তানেরা। আজকের এই দিনেই বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ হল আজ। মুক্তির জয়গানে মুখর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা চিত্তে আজ স্মরণ করবে জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই অকুতোভয় বীরদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়।

জাতীয় জীবনে নানা সংকট আর অনিশ্চয়তা থাকলেও আজ ভোরে পূর্ব আকাশে যে নতুন সূর্য উঠবে তা স্মরণ করিয়ে দেবে আজকের দিনটি এ গৌরবের,আনন্দের, বিজয়ের দিন। বহু কাঙ্খিত সেই দিনটির দেখা মিলেছিল দীর্ঘ নয় মাসের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

১৯৪৭ সালে ইংরেজদের শাসন থেকে এদেশ মুক্ত হলেও ফের বাধা হিসেবে দেখা দেয় পাকিস্তানী শোষক গোষ্ঠীর অন্যায় শাসন। বাঙালি বঞ্চিত হতে থাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে। পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে তোলা হয় সম্পদের পাহাড়। তাদের সে অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে ধীরে ধীরে জেগে ওঠে দামাল বাঙালি। ধাপে ধাপে আঘাত হানতে থাকে শাসনযন্ত্রে।

’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ’৫৭-র স্বায়ত্তশাসন দাবি, ’৬২ ও ’৬৯-এর গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মার্চে দুরন্ত বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। ২৫শে মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনী শুরু করে নির্মম নিধনযজ্ঞ। এরপর আসে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা।

দখলদার বাহিনীকে বিতাড়নে শুরু হয় অদম্য সংগ্রাম। ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে জীবন দান করেন লাখো বাঙালি। অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর আসে সেই কাঙ্খিত বিজয়। সে সময়ের রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪৫ বছর আগের এদিনে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজবে বাঙালির বুকে। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি আজ স্মরণ করবে জানা-অজানা সেসব লাখো শহীদকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে পেরিয়ে গেল ৪৬টি বছর।

স্বাধীনতা অর্জিত হলেও গত ৪৬ বছর জাতির চলার পথ মসৃণ ছিল না কখনো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া, দারিদ্র ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি একইভাবে চলেছে সামরিক শাসন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধের বিচার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ আন্দোলন। এসব আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই মোকাবিলা করতে হয়েছে প্রবল বন্যা,ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের।

এই বন্ধুর পথপরিক্রমায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু শত বাধা-প্রতিবন্ধকতাতে হতোদ্যম হয়নি এ দেশের সংগ্রামী মানুষ। আজ ও লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে অব্যাহত থাকবে বাঙালির এগিয়ে যাওয়া।
বিজয় উদযাপনে আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ পথে নামবে উৎসবমুখর মানুষ। শহীদদের স্মরণ করে বিন¤্র শ্রদ্ধায় সিক্ত হবে শহীদ মিনার আর বিজয় স্তম্ভ। সব বয়সী মানুষ সমবেত হবে শহীদ মিনার প্রঙ্গনে। শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি।

লাল-সবুজ পতাকা উড়বে আজ বাড়িতে গাড়ীতে, সব প্রতিষ্ঠানে। মাথায় থাকবে পতাকার রঙে রাঙা ফিতা। পতাকার রঙের পোশাকও থাকবে উৎসবে শামিল অনেকের পরনে। পতাকায় সজ্জিত করা হবে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ।

আজ সরকারি ছুটি। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও সড়ক গুলোকে সাজানো হয়েছে রঙ- বেরঙের আলোকসজ্জ্বায়। বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।

 

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

জনপ্রিয় সংবাদ

সৌদি আরবে “প্রবাসী নাশীদ ব্যান্ডের” উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

আজ মহান বিজয় দিবস

আপডেট সময় : ০৭:৪১:৫৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

আবারো বছর ঘুরে ফিলে এল বাঙালী জাতির সেই গৌরবে গাঁথা দিনটি। ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বরে বাংলাদেশকে পাকহানাদার মুক্ত করে বাঙলার দামাল সন্তানেরা। আজকের এই দিনেই বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে হয়েছে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। ত্রিশ লাখ শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়ের ৪৭ বছর পূর্ণ হল আজ। মুক্তির জয়গানে মুখর কৃতজ্ঞ বাঙালি জাতি শ্রদ্ধা চিত্তে আজ স্মরণ করবে জাতির সেই শ্রেষ্ঠ সন্তান সেই অকুতোভয় বীরদের, যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এ বিজয়।

জাতীয় জীবনে নানা সংকট আর অনিশ্চয়তা থাকলেও আজ ভোরে পূর্ব আকাশে যে নতুন সূর্য উঠবে তা স্মরণ করিয়ে দেবে আজকের দিনটি এ গৌরবের,আনন্দের, বিজয়ের দিন। বহু কাঙ্খিত সেই দিনটির দেখা মিলেছিল দীর্ঘ নয় মাসের এক রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম শেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর।

১৯৪৭ সালে ইংরেজদের শাসন থেকে এদেশ মুক্ত হলেও ফের বাধা হিসেবে দেখা দেয় পাকিস্তানী শোষক গোষ্ঠীর অন্যায় শাসন। বাঙালি বঞ্চিত হতে থাকে তার ন্যায্য অধিকার থেকে। পূর্ব পাকিস্তানের সম্পদ লুট করে নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে গড়ে তোলা হয় সম্পদের পাহাড়। তাদের সে অত্যাচার-নির্যাতনের প্রতিবাদে ধীরে ধীরে জেগে ওঠে দামাল বাঙালি। ধাপে ধাপে আঘাত হানতে থাকে শাসনযন্ত্রে।

’৫২-র ভাষা আন্দোলন, ’৫৪-র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের বিজয়, ’৫৭-র স্বায়ত্তশাসন দাবি, ’৬২ ও ’৬৯-এর গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালের মার্চে দুরন্ত বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তির সংগ্রামে। ২৫শে মার্চ কাল রাতে পাকিস্তানী বর্বর বাহিনী শুরু করে নির্মম নিধনযজ্ঞ। এরপর আসে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা।

দখলদার বাহিনীকে বিতাড়নে শুরু হয় অদম্য সংগ্রাম। ৯ মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে জীবন দান করেন লাখো বাঙালি। অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর আসে সেই কাঙ্খিত বিজয়। সে সময়ের রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ৪৫ বছর আগের এদিনে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী হাতের অস্ত্র ফেলে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়েছিল বিজয়ী বীর বাঙালির সামনে। স্বাক্ষর করেছিল পরাজয়ের সনদে। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের।

দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ, দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত এই বিজয়ের দিনটিতে আনন্দের পাশাপাশি বেদনাও বাজবে বাঙালির বুকে। বিন¤্র শ্রদ্ধা ও গভীর কৃতজ্ঞতায় জাতি আজ স্মরণ করবে জানা-অজানা সেসব লাখো শহীদকে। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল ভোগ করে পেরিয়ে গেল ৪৬টি বছর।

স্বাধীনতা অর্জিত হলেও গত ৪৬ বছর জাতির চলার পথ মসৃণ ছিল না কখনো। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ গড়া, দারিদ্র ও দুর্নীতি থেকে মুক্তির সংগ্রামের পাশাপাশি একইভাবে চলেছে সামরিক শাসন, গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম, যুদ্ধাপরাধের বিচার, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ আন্দোলন। এসব আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যেই মোকাবিলা করতে হয়েছে প্রবল বন্যা,ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের।

এই বন্ধুর পথপরিক্রমায় অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। কিন্তু শত বাধা-প্রতিবন্ধকতাতে হতোদ্যম হয়নি এ দেশের সংগ্রামী মানুষ। আজ ও লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে অব্যাহত থাকবে বাঙালির এগিয়ে যাওয়া।
বিজয় উদযাপনে আজ সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ পথে নামবে উৎসবমুখর মানুষ। শহীদদের স্মরণ করে বিন¤্র শ্রদ্ধায় সিক্ত হবে শহীদ মিনার আর বিজয় স্তম্ভ। সব বয়সী মানুষ সমবেত হবে শহীদ মিনার প্রঙ্গনে। শ্রদ্ধার ফুলে ঢেকে যাবে শহীদ মিনারের বেদি।

লাল-সবুজ পতাকা উড়বে আজ বাড়িতে গাড়ীতে, সব প্রতিষ্ঠানে। মাথায় থাকবে পতাকার রঙে রাঙা ফিতা। পতাকার রঙের পোশাকও থাকবে উৎসবে শামিল অনেকের পরনে। পতাকায় সজ্জিত করা হবে রাজধানীসহ দেশের বড় শহরগুলোর প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপ।

আজ সরকারি ছুটি। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ও সড়ক গুলোকে সাজানো হয়েছে রঙ- বেরঙের আলোকসজ্জ্বায়। বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় সংবাদপত্রগুলো প্রকাশ করেছে বিশেষ ক্রোড়পত্র।