সিদ্ধিরগঞ্জে দুইটি মসজিদ কমিটির লোকজনের দীর্ঘদিনের বিরোধ নিস্পত্তি হওয়ার পরও বন্ধ হচ্ছেনা ষড়যন্ত্র। সংঘর্ষের রূপ ধারণ ও মামলা মোকদ্দমা শুরু হলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ দুইপক্ষ নিয়ে একাধিক বৈঠক বসে আলোচনা সাপেক্ষে বিরোধ নিস্পত্তি করে চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন করেন। কিন্তু তৃতীয় একটি পক্ষ সুবিধাভোগ করতে না পেরে মসজিদ নিয়ে বিভ্রান্তকর অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, মিজমিজি পশ্চিম পাড়া পুরাতন জামে মসজিদ ও কান্দাপাড়া বায়তুস ছোবহান জামে মসজিদ কমিটির লোকজনের মধ্যে বিরোধ সুষ্টি হয়। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘর্ষের রূপ ধারণ করে একাধিকবার। বিরোধ গড়ায় আদালতে। এমতাবস্থায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মিয়াসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উদ্যোগে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত দফায় দফায় সালিশ বৈঠক হয়।
বৈঠকে বিরোধের কারণ হিসেবে উঠে আসে মরহুম আব্দুছ ছোবহান মাদবরের কন্যা জবেদা খাতুন কান্দাপাড়া বায়তুন ছোবহান জামে মসজিদ নির্মাণের জন্য ওয়ক্ফ নামা দুইটি দলিলে যে ৩৩ শতাংশ জমি দিয়েছেন, তা আগেই মিজমিজি পশ্চিম পাড়া পুরাতন জামে মসজিদের জন্য মৌখিকভাবে দান করেছিলেন। এর পর থেকেই মসজিদ কমিটি জমি ভোগদখল করে বাড়ী নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে মসজিদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করে আসছিলেন।
একটি মসজিদের আয়ের উৎসে আরেকটি মসজিদ ও ঈদগা নির্মাণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করাতেই শুরু হয় বিরোধ। আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন মিয়ার আপ্রাণ প্রচেষ্টা ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আন্তরিকতায় সর্বশেষ আলোচনা সাপেক্ষে কান্দাপাড়া বায়তুস ছোবহান জামে মসজিদ ও ঈদগার পক্ষ থেকে মিজমিজি পশ্চিম পাড়া পুরাতন জামে মসজিদকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপুর দিবার সম্মতিক্রমে একই বছরের ২০ নভেম্বর একটি চুক্তিপত্র দলিল সম্পাদন হয়।
ওই দলিলে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া পুরাতন জামে মসজিদের পক্ষে ১৪ জন প্রথম পক্ষ আর কান্দাপাড়া বায়তুন ছোবহান জামে মসজিদ ও ঈদগার পক্ষে ৭ জন দ্বিতীয় পক্ষ হয়ে দলিলটি সম্পাদন করে বিরোধ নিস্পত্তি করেন। এর পর কান্দাপাড়া বায়তুন ছোবহান জামে মসজিদ ও ঈদগা নির্মাণ করা হয়। ফলে তৃতীয় পক্ষ ফায়দা লুটতে পারেনি। তাই কান্দাপাড়া মসজিদের জায়গা সাইনবোর্ড টানিয়ে কমিটির কাছ থেকে আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন মিয়া ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আতœসাত করেছেন বলে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া বলেন, আমার ধন সম্পদের এত অভাব নেই যে, মসজিদের টাকা মেরে খেতে হবে। যারা মিথ্যাচার করছে আল্লাহ্ যেন তাদেররকে হেদায়েদ দান করেন।
এবিষয়ে কান্দাপাড়া বায়তুন ছোবহান জামে মসজিদ ও ঈদগা কমিটির সভাপতি হাজী মনিরুদ্দিন ও মোতাওয়াল্লী হাজী মো: ওমর আলী বলেন, সালিশী বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে ২ কোটি টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে মিজমিজি পশ্চিমপাড়া পুরাতন জামে মসজিদকে। হাজী ইয়াছিন মিয়াকে আলাদাভাবে কোন টাকা দেওয়া হয়নি।
মিজমিজি পশ্চিমপাড়া পুরাতন জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সোলেমান মুন্সি বলেন, হাজী ইয়াছিন মিয়ার বিরুদ্ধে মসজিদের কোটি টাকা আতœসাতের অভিযোগ সঠিক নয়। একটি মহল তার মান ক্ষুন্ন করার জন্য মিথ্যাচার করছে।