নারায়ণগঞ্জ ০৯:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ অস্ত্রের লাইসেন্সের আবেদন না করেও অপপ্রচারের শিকার মহিউদ্দিন মোল্লা ! সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা

মিতালী মার্কেটের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮
  • ১৫০ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির নির্বাচনে মনগড়া ভোটার তালিকা ও প্রহসন মূলক নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কেট অভ্যন্তরে ভোটার তালিকা থেকে বাদপড়া সদস্যরা এ কর্মসূচী পালন করে। একপর্যায় প্রতিবাদ কর্মসুচী পালনে বাধা প্রদান করেন প্রতিপক্ষের বহিরাগত লোকজন। তখন উত্তেজনা দেখা দিলে মার্কেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়জিত থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য্য থাকলেও রহস্যজনক কারণে নির্বাচন পরিচলানা কমিটির লোকজন মার্কেটে আসেননি। এ নিয়েও চলছে তীব্র সমালোচনা।
সিদ্ধিরগঞ্জ সাহেবপাড়াস্থ মিতালী মার্কেট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মার্কেটের সদস্য আরিফ হোসেন, ডাক্তার জাফর আহমেদ, আবদুর রহিম ও সিরাজসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলে,নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সকলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
উল্লেখ্য, মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির নেতা হওয়াকে কেন্দ্র করে দু‘টি গ্রæপের মধ্যে বিরোধ ও একাধিকবার সংঘর্ষ হলে তা আদালতে গড়ায়। মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন (নং-৫৪১৭/১৬) প্রদত্ত রায়ে অত্র সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত বছরের ২২ অক্টোবর ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সে নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তর একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম (তানভীর) আহবায়ক, মোঃ বেলায়েত হোসেন সদস্য সচিব, মোঃ তনাই মোল্লা, হাজী এমদাদ আলী ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানকে সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে ওই আহবায়ক কমিটি নির্বাচন কমিশন বনে গিয়ে আগামী ১০ মার্চ ভোট গ্রহনের তারিখ ধার্য্য করে সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সমিতির ৬ হাজার ২৩৬ জন সদস্যর মধ্যে ৫ হাজার ৬৮৪ জনকে বাদ দিয়ে মাত্র ৫৫২ জনকে ভোটার করে একটি প্রহসন মূলক নির্বাচন করার নীল নকশা করলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে দেখা দেয় উত্তেজনা। ঘটে মারধরের ঘটনা। একাধিক জিডি হয় থানায়। এ আবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজনকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তলব করা হয়। তখন উভয় পক্ষের লোকজন যথাসময়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের কথা শোনে পুলিশ সুপার মঈনুল হক যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য উভয় পক্ষকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করার জন্য বাদপড়া সদস্যদের অন্তর্ভূক্ত করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের অংশগ্রহন করার সুযোগ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে গত ২৭ ফেব্রæয়ারি থেকে একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃতে মার্কেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যা আগামী ১০ মার্চ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পুলিশ সুপার নির্দেশ প্রদান করার পরও নির্বাচন পরিচানা কমিটির কোন সদস্য সমিতির অফিসে আসেননি। বাদপড়া সদস্যরা ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সমিতির অফিসে ভীর জমালেও নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত না থাকায় কোন সদস্য ভোটার হতে পারেনি। এ ক্ষোভে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। অপর দিকে গতকাল প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য্য থাকলেও নির্বাচন কমিশনাররা রহস্যজনক কারণে সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়নি। এ নিয়েও চলছে না সমালোচনা।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

রেকমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের মজিবুর রহমান সভাপতির দায়িত্ব নিয়েই শিক্ষার মান উন্নয়নের তাগিদ

মিতালী মার্কেটের নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট সময় : ১১:৪২:৫৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ ২০১৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি
সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির নির্বাচনে মনগড়া ভোটার তালিকা ও প্রহসন মূলক নির্বাচন বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মার্কেট অভ্যন্তরে ভোটার তালিকা থেকে বাদপড়া সদস্যরা এ কর্মসূচী পালন করে। একপর্যায় প্রতিবাদ কর্মসুচী পালনে বাধা প্রদান করেন প্রতিপক্ষের বহিরাগত লোকজন। তখন উত্তেজনা দেখা দিলে মার্কেটে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়জিত থাকা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। অপরদিকে প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য্য থাকলেও রহস্যজনক কারণে নির্বাচন পরিচলানা কমিটির লোকজন মার্কেটে আসেননি। এ নিয়েও চলছে তীব্র সমালোচনা।
সিদ্ধিরগঞ্জ সাহেবপাড়াস্থ মিতালী মার্কেট কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আলহাজ্ব রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মার্কেটের সদস্য আরিফ হোসেন, ডাক্তার জাফর আহমেদ, আবদুর রহিম ও সিরাজসহ প্রমুখ।
বক্তারা বলে,নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সকলের অংশ গ্রহনের মাধ্যমে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ সুন্দর নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলা হবে।
উল্লেখ্য, মিতালী মার্কেট দোকানদার সমিতির নেতা হওয়াকে কেন্দ্র করে দু‘টি গ্রæপের মধ্যে বিরোধ ও একাধিকবার সংঘর্ষ হলে তা আদালতে গড়ায়। মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন (নং-৫৪১৭/১৬) প্রদত্ত রায়ে অত্র সমিতির কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে গত বছরের ২২ অক্টোবর ৫ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সে নির্দেশনা মোতাবেক নারায়ণগঞ্জ শ্রম অধিদপ্তর একই বছরের ২৬ ডিসেম্বর আলহাজ্ব শামছুল ইসলাম (তানভীর) আহবায়ক, মোঃ বেলায়েত হোসেন সদস্য সচিব, মোঃ তনাই মোল্লা, হাজী এমদাদ আলী ও আলহাজ্ব হাবিবুর রহমানকে সদস্য করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। পরবর্তীতে ওই আহবায়ক কমিটি নির্বাচন কমিশন বনে গিয়ে আগামী ১০ মার্চ ভোট গ্রহনের তারিখ ধার্য্য করে সমিতির নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করে। কিন্তু নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সমিতির ৬ হাজার ২৩৬ জন সদস্যর মধ্যে ৫ হাজার ৬৮৪ জনকে বাদ দিয়ে মাত্র ৫৫২ জনকে ভোটার করে একটি প্রহসন মূলক নির্বাচন করার নীল নকশা করলে বিরোধ সৃষ্টি হয়। এতে দেখা দেয় উত্তেজনা। ঘটে মারধরের ঘটনা। একাধিক জিডি হয় থানায়। এ আবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে গত ২৫ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় উভয় পক্ষের লোকজনকে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে তলব করা হয়। তখন উভয় পক্ষের লোকজন যথাসময়ে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে হাজির হয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। উভয় পক্ষের কথা শোনে পুলিশ সুপার মঈনুল হক যে কোন অনাকাঙ্খিত ঘটনা থেকে বিরত থাকার জন্য উভয় পক্ষকে কঠোর নির্দেশ প্রদান করেন। সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন করার জন্য বাদপড়া সদস্যদের অন্তর্ভূক্ত করে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নির্বাচন করতে আগ্রহী প্রার্থীদের অংশগ্রহন করার সুযোগ দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য সকলকে নির্দেশ প্রদান করেন পুলিশ সুপার। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন রাখতে গত ২৭ ফেব্রæয়ারি থেকে একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃতে মার্কেটে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যা আগামী ১০ মার্চ নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। পুলিশ সুপার নির্দেশ প্রদান করার পরও নির্বাচন পরিচানা কমিটির কোন সদস্য সমিতির অফিসে আসেননি। বাদপড়া সদস্যরা ভোটার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সমিতির অফিসে ভীর জমালেও নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত না থাকায় কোন সদস্য ভোটার হতে পারেনি। এ ক্ষোভে তারা এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করে। অপর দিকে গতকাল প্রতীক বরাদ্দের দিন ধার্য্য থাকলেও নির্বাচন কমিশনাররা রহস্যজনক কারণে সমিতির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়নি। এ নিয়েও চলছে না সমালোচনা।