নারায়ণগঞ্জ ০১:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই রিয়াদে জমকালো আয়োজনে মাই টিভির ১৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন রিয়াদে প্রিমিয়াম ফুটবল লীগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত জুন মাসের ১৭ তারিখ কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভবনা রিয়াদে নোভ আল আম্মার ইষ্টাবলিস্ট এর আয়োজনে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত রিয়াদে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত রিয়াদে জয়নাল আবেদীন ফারুক রিয়াদে বাংলাদেশ প্রবাসী সাংবাদিক ফোরামের ইফতার মাহফিলে প্রবাসীদের মিলন মেলা ফতুল্লা থানায় অভিযোগ করেও সাবেক সেনা পরিবার, পাশে পায়নি পুলিশ রিয়াদে প্রবাসী চাঁদপুর জেলা বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কাউন্সিলর ইকবাল জেলে ভোগান্তিতে ওয়ার্ডবাসী

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১
  • ১১৫ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ডবাসী পড়েছে ভোগান্তিতে। গত ৪ মাস ধরে কাউন্সিলর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ ও প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে লোকজনের। নাশকতা মামলায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় এই জনভোগান্তি।
জানা গেছে, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন একাধিক মামলার আসামি। গরু চুরির মামলায় আটক হয়ে বেশ কিছুদিন জেল খেটেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ইকবাল হোসেন। ওই মামলায় গত ছয় এপ্রিল র‌্যাব তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেন। পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, কাউন্সিলর না থাকায় চারিত্রিক সনদপত্র, বিভিন্ন প্রত্যায়নপত্র পেতে হয়রনী হতে হচ্ছে। ছোট খাট দরকারি কাগজপত্রের জন্য যেতে হয় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার সিটি কর্পোরেশনের শাখা কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে শান্তি নেই দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কিনা সেই জবাবদিহিতার পাশাপাশি প্রমাণ করতে হয়। তরপরেও একাধিকবার আসা যাওয়ার পর মিলে কাগজ।
একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন জানান, কাউন্সিলর না থাকায় এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ট কিছু লোক বনে গেছে মাদবর। ছোট খাট সমস্য, মারামারি, ঝামেলা মিঠাতে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে এসব লোকজন। করছে প্রহসনমূলক সালিশ বিচার। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফ্ফর ভারপ্রাপ্ত দায়ীত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত দায়ীত্বও পালন করছেন মাকসুদা মোজাফ্ফর। কারণ মায়ের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সির শাহজালাল বাদল গত দুইমাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। পাঁচ মাসের আগে তিনি দেশে ফিরবেন না। তাই মাকসুদা মোজাফ্ফকে দায়ীত্ব দিয়ে গেছেন। মাকসুদা মোজাফ্ফর একজন বৃদ্ধা নারী। তিনি খুব সহজ সরল। তাই তার কথা অনেকই পাত্তা দেয়না। এমন একজন নারী তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলরের দায়ীত্ব পালনের পাশাপাশি একই সঙ্গে দুইটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়ীত্ব পালন করা কষ্টকর। যার বাস্তবতা ফুটে উঠেছে করোনার গণঠিকা কার্যক্রম চলার সময়। তখন দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে চরম বিশৃঙ্খলা হয় বলে স্থানীয়রা জানায়। রেজিষ্ট্রেশন করে লাইনে দাঁড়িয়েও বহু মানুষ ঠিকা নিতে পারেনি। কাউন্সিলর না থাকায় তার লোকজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদানে স্বজনপ্রিতির অভিযোগ উঠে। একই দিনে দুইটি ওয়ার্ডের ঠিকাদান কর্মসূচিতে সু-শৃঙ্খলা বজায় রাখা একজন বৃদ্ধা নারী কাউন্সিলরের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠিকার প্রথম ডোজ কর্মসূচি শেষ হলেও দ্বিতীয় ডোজের সময় যেন একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই উদ্যোগ গ্রহণের দাবি ওয়ার্ডবাসীর।
এবিষয়ে কথা বলতে মাকসুদা মোজাফ্ফরের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সাংবাদিক শাওনের বাবা ফিরোজ আহমেদ আর নেই

কাউন্সিলর ইকবাল জেলে ভোগান্তিতে ওয়ার্ডবাসী

আপডেট সময় : ১০:২৪:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ অগাস্ট ২০২১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি :নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের দুই নম্বর ওয়ার্ডবাসী পড়েছে ভোগান্তিতে। গত ৪ মাস ধরে কাউন্সিলর না থাকায় প্রয়োজনীয় সনদ ও প্রত্যায়নপত্র সংগ্রহ করতে বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে লোকজনের। নাশকতা মামলায় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন গ্রেপ্তার হয়ে জেলে যাওয়ার পর থেকেই শুরু হয় এই জনভোগান্তি।
জানা গেছে, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন একাধিক মামলার আসামি। গরু চুরির মামলায় আটক হয়ে বেশ কিছুদিন জেল খেটেছেন। সিদ্ধিরগঞ্জে হেফাজতের সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় আসামি ইকবাল হোসেন। ওই মামলায় গত ছয় এপ্রিল র‌্যাব তাকে আটক করে পুলিশের কাছে দেন। পুলিশ তাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জেলহাজতে পাঠায়। বর্তমানে তিনি নারায়ণগঞ্জ কারাগারে রয়েছেন।
ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল হাকিম জানান, কাউন্সিলর না থাকায় চারিত্রিক সনদপত্র, বিভিন্ন প্রত্যায়নপত্র পেতে হয়রনী হতে হচ্ছে। ছোট খাট দরকারি কাগজপত্রের জন্য যেতে হয় সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার সিটি কর্পোরেশনের শাখা কার্যালয়ে। সেখানে গিয়ে শান্তি নেই দুই নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা কিনা সেই জবাবদিহিতার পাশাপাশি প্রমাণ করতে হয়। তরপরেও একাধিকবার আসা যাওয়ার পর মিলে কাগজ।
একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাজিম উদ্দিন জানান, কাউন্সিলর না থাকায় এলাকায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ট কিছু লোক বনে গেছে মাদবর। ছোট খাট সমস্য, মারামারি, ঝামেলা মিঠাতে আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে এসব লোকজন। করছে প্রহসনমূলক সালিশ বিচার। এতে সাধারণ মানুষের মাঝে সৃষ্টি হচ্ছে ক্ষোভ।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের অনুপস্থিতিতে সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর মাকসুদা মোজাফ্ফর ভারপ্রাপ্ত দায়ীত্ব পালন করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিন নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত দায়ীত্বও পালন করছেন মাকসুদা মোজাফ্ফর। কারণ মায়ের চিকিৎসার জন্য ওয়ার্ড কাউন্সির শাহজালাল বাদল গত দুইমাস ধরে ভারতে অবস্থান করছেন। পাঁচ মাসের আগে তিনি দেশে ফিরবেন না। তাই মাকসুদা মোজাফ্ফকে দায়ীত্ব দিয়ে গেছেন। মাকসুদা মোজাফ্ফর একজন বৃদ্ধা নারী। তিনি খুব সহজ সরল। তাই তার কথা অনেকই পাত্তা দেয়না। এমন একজন নারী তিনটি ওয়ার্ডের সংরক্ষিত কাউন্সিলরের দায়ীত্ব পালনের পাশাপাশি একই সঙ্গে দুইটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের দায়ীত্ব পালন করা কষ্টকর। যার বাস্তবতা ফুটে উঠেছে করোনার গণঠিকা কার্যক্রম চলার সময়। তখন দুই ও তিন নম্বর ওয়ার্ডে চরম বিশৃঙ্খলা হয় বলে স্থানীয়রা জানায়। রেজিষ্ট্রেশন করে লাইনে দাঁড়িয়েও বহু মানুষ ঠিকা নিতে পারেনি। কাউন্সিলর না থাকায় তার লোকজনের বিরুদ্ধে ঠিকাদানে স্বজনপ্রিতির অভিযোগ উঠে। একই দিনে দুইটি ওয়ার্ডের ঠিকাদান কর্মসূচিতে সু-শৃঙ্খলা বজায় রাখা একজন বৃদ্ধা নারী কাউন্সিলরের পক্ষে সম্ভব হয়নি। বিশৃঙ্খলার মধ্যে ঠিকার প্রথম ডোজ কর্মসূচি শেষ হলেও দ্বিতীয় ডোজের সময় যেন একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেই উদ্যোগ গ্রহণের দাবি ওয়ার্ডবাসীর।
এবিষয়ে কথা বলতে মাকসুদা মোজাফ্ফরের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।