সিদ্ধিরগঞ্জে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ আহত ১০ গ্রেফতার ১১

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : আদিপত্য বিস্তার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় আদমজী সুমিলপাড়া রেললাইন এলাকায় আক্তার হোসেন ও হান্নান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় ও নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার বেলা ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাল্টা পাল্টি দু,টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই গ্রুপের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃতরা হলো, আক্তার হোসেন, মিজান, আবদুল হান্নান, স্বপন, ফিরোজ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, রবিন, বিল্লাল হোসেন, নূর হেসেন, মিজানুর ও শামীম।

জানা গেছে, সিলিন্টার গ্যাস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আক্তার হোসেন গ্রুপের মো: হৃদয়কে মারধর করে হান্নান গ্রুপের লোকজন। পরে রাত ৮ টার দিকে আক্তার গ্রুপের ৪০/৪৫ জন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ হান্নান গ্রুপের উপর হামলা চালায়। তখন শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় আহত হয় রাসেল আহমেদ, জসিম, ইসমাইল, ইউসুফ, রাকিব, সাইদুল, শুভ ও মিজান। আহতদের মধ্যে হান্নান গ্রুপেরই ৭ জন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী বাক্কুর নেতৃত্বে হান্নান গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ আক্তার হোসেনের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন পারভেজ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন করেন।

এ ঘটনায় আক্তার গ্রুপের ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও আজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হান্নান গ্রুপের জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে। একই ঘটনায় হান্নান গ্রুপের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে আক্তার গ্রুপের শাহ আলম বাদী হয়ে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন পারভেজ মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

সিদ্ধিরগঞ্জে আদিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ আহত ১০ গ্রেফতার ১১

আপডেট সময় : ১২:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুন ২০১৯

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : আদিপত্য বিস্তার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জে দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। বাড়ী ঘরে হামলা ভাংচুর। মঙ্গলবার রাত ৮ টায় আদমজী সুমিলপাড়া রেললাইন এলাকায় আক্তার হোসেন ও হান্নান গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয় ও নারায়ণগঞ্জ খানপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বুধবার বেলা ৩ টায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পাল্টা পাল্টি দু,টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই গ্রুপের প্রধানসহ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

ধৃতরা হলো, আক্তার হোসেন, মিজান, আবদুল হান্নান, স্বপন, ফিরোজ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন, রবিন, বিল্লাল হোসেন, নূর হেসেন, মিজানুর ও শামীম।

জানা গেছে, সিলিন্টার গ্যাস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আক্তার হোসেন গ্রুপের মো: হৃদয়কে মারধর করে হান্নান গ্রুপের লোকজন। পরে রাত ৮ টার দিকে আক্তার গ্রুপের ৪০/৪৫ জন দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রতিপক্ষ হান্নান গ্রুপের উপর হামলা চালায়। তখন শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এ ঘটনায় আহত হয় রাসেল আহমেদ, জসিম, ইসমাইল, ইউসুফ, রাকিব, সাইদুল, শুভ ও মিজান। আহতদের মধ্যে হান্নান গ্রুপেরই ৭ জন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে থানা পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী বাক্কুর নেতৃত্বে হান্নান গ্রুপের লোকজন প্রতিপক্ষ আক্তার হোসেনের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে।

খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৮ টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন পারভেজ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিত নিয়ন্ত্রন করেন।

এ ঘটনায় আক্তার গ্রুপের ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও আজ্ঞাত ২৫/৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে হান্নান গ্রুপের জসিম উদ্দিন বাদী হয়ে। একই ঘটনায় হান্নান গ্রুপের ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি দিয়ে পাল্টা মামলা দায়ের করেছে আক্তার গ্রুপের শাহ আলম বাদী হয়ে।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শাহীন পারভেজ মারধরের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, দুই পক্ষই মামলা দায়ের করেছে। উভয় পক্ষের ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।