নারায়ণগঞ্জ ০৮:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শ্রমিক অসন্তোষের আগে শিল্প পুলিশ আবাস পায় : পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম

  • প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮
  • ১২৪ বার পড়া হয়েছে

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা যাতে শিল্প পুলিশের হাতে নির্যাতিত না হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, বৃষ্টি হওয়ার আগে যেমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তেমনি কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেওয়ার আগে শিল্প পুলিশ আবাস পায়। পুলিশকে নাচানোর জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে শিল্পপুলিশকে সহযোগীতা করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের তদন্ত যে ভাবে প্রকাশ করতে পারে, পুলিশ সেভাবে পারেনা। কারণ,তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে অনেক কিছু গোপন রাখতে হয়। নতুন মজুরী কাঠামো ও শ্রমিক ছাটাই সংক্রান্তে আদমজী ইপিজেট অভ্যন্তরে নারায়ণগঞ্জ-৪ শিল্প পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত রোববার বিকেল ৩ টায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া শ্রমিক আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে শিল্পপুলিশের ভুমিকা তুলে ধরে পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ৮ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক কার্যকর হলে দেশের বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিক বেকায়দায় পড়বে। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তখন অন্দোলন হতে পারে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গণমাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারকে নানা প্রশ্ন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। শ্রমিক অন্দোলনের জন্য শুধুকি শ্রমিকরাই দায়ী, কারখানা মালিকরা কি দায়ী নয় এ প্রশ্নটি ছিল জুরালো। আন্দোলনরত শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করার আগে শ্রমিকরা কেন অন্দোলন করছে তার কারণ উদঘাটন করে মালিক পক্ষ দূষি হলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার মতামত পেশ করেন সাংবাদিকরা। তবে শিল্প পুলিশের জনবল ও অবকাঠামোগত সমস্যা আছে কি না তাও জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা।
উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত ও প্রশ্ন রেখে বক্তব্যের জবাবে পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম শিল্প পুলিলের আবাসন ও অবকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরলেও তা আগামী ১ বছরের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন। জনবল সমস্য থাকলেও শিল্প পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করছে বলে জানান। শিল্প পুলিশ কতটা দায়িত্বশীল তা জানতে যে কোন স্থানে শ্রমিক আন্দোলনের মিথ্যা সংবাদ দিয়ে পরীক্ষা করার আহবান জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাপশ, তানভির সিদ্দিকী, শামীম, লিংকন,শাহজাহান জনি, হোসেন চিশ্তী শিপলু, আবদুল কাইয়ুম, নূরুজ্জামান কাউসার, হাসান মজুমদার বাবলু, এম এ শাহীন, আল আমিন, কাজী আলমাছ, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন মিলন, মামুন, দিল মোহাম্মদ দিলু, এমরান আলী সজিব, মনজুর আহমেদ অনিক, আসলাম, সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, তফাজ্জল হোসেন, আশিকুর রহমান, রিপনসহ নারায়ণগঞ্জ,সিদ্ধিরগঞ্জ,ফতুল্লা ও রূপগঞ্জ থানা এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।

ট্যাগস :

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

শ্রমিক অসন্তোষের আগে শিল্প পুলিশ আবাস পায় : পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম

আপডেট সময় : ০২:৩১:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ অক্টোবর ২০১৮

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি : পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা যাতে শিল্প পুলিশের হাতে নির্যাতিত না হয় সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ শিল্প পুলিশের পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, বৃষ্টি হওয়ার আগে যেমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয়, তেমনি কোথাও শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দেওয়ার আগে শিল্প পুলিশ আবাস পায়। পুলিশকে নাচানোর জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ না করে সঠিক সংবাদ প্রকাশ করে শিল্পপুলিশকে সহযোগীতা করার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা তাদের তদন্ত যে ভাবে প্রকাশ করতে পারে, পুলিশ সেভাবে পারেনা। কারণ,তদন্তের স্বার্থে পুলিশকে অনেক কিছু গোপন রাখতে হয়। নতুন মজুরী কাঠামো ও শ্রমিক ছাটাই সংক্রান্তে আদমজী ইপিজেট অভ্যন্তরে নারায়ণগঞ্জ-৪ শিল্প পুলিশের উদ্যোগে আয়োজিত রোববার বিকেল ৩ টায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া শ্রমিক আন্দোলনের প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করে শিল্পপুলিশের ভুমিকা তুলে ধরে পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম আরো বলেন, শ্রমিকদের নুন্যতম মজুরী ৮ হাজার টাকা বাধ্যতামূলক কার্যকর হলে দেশের বহু শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিক বেকায়দায় পড়বে। এমনকি অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধও হয়ে যেতে পারে। তখন অন্দোলন হতে পারে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গণমাধ্যমের সহযোগীতা কামনা করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকরা পুলিশ সুপারকে নানা প্রশ্ন করে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। শ্রমিক অন্দোলনের জন্য শুধুকি শ্রমিকরাই দায়ী, কারখানা মালিকরা কি দায়ী নয় এ প্রশ্নটি ছিল জুরালো। আন্দোলনরত শ্রমিকদের লাঠিচার্জ করার আগে শ্রমিকরা কেন অন্দোলন করছে তার কারণ উদঘাটন করে মালিক পক্ষ দূষি হলে আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহন করার মতামত পেশ করেন সাংবাদিকরা। তবে শিল্প পুলিশের জনবল ও অবকাঠামোগত সমস্যা আছে কি না তাও জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকরা।
উপস্থিত সাংবাদিকদের মতামত ও প্রশ্ন রেখে বক্তব্যের জবাবে পুলিশ সুপার মো: জাহিদুল ইসলাম শিল্প পুলিলের আবাসন ও অবকাঠামোগত সমস্যা তুলে ধরলেও তা আগামী ১ বছরের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দেন। জনবল সমস্য থাকলেও শিল্প পুলিশ নিরলস ভাবে কাজ করছে বলে জানান। শিল্প পুলিশ কতটা দায়িত্বশীল তা জানতে যে কোন স্থানে শ্রমিক আন্দোলনের মিথ্যা সংবাদ দিয়ে পরীক্ষা করার আহবান জানান তিনি। মতবিনিময় সভায় শিল্প পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাপশ, তানভির সিদ্দিকী, শামীম, লিংকন,শাহজাহান জনি, হোসেন চিশ্তী শিপলু, আবদুল কাইয়ুম, নূরুজ্জামান কাউসার, হাসান মজুমদার বাবলু, এম এ শাহীন, আল আমিন, কাজী আলমাছ, সোহেল রানা, ইসমাইল হোসেন মিলন, মামুন, দিল মোহাম্মদ দিলু, এমরান আলী সজিব, মনজুর আহমেদ অনিক, আসলাম, সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, তফাজ্জল হোসেন, আশিকুর রহমান, রিপনসহ নারায়ণগঞ্জ,সিদ্ধিরগঞ্জ,ফতুল্লা ও রূপগঞ্জ থানা এলাকায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।