জরুরী সরকারের আমলে দুই নেত্রীর বিরুদ্ধে ১৮ টি মামলা হয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনার ক্ষমতাবলে সকল মামলা প্রত্যাহার করেছেন। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার কোন মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি বরং তার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার আরো ৩০/৪০ মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। বেগম খালেদা জিয়া ঢাকায় আর মামলা হয় চৌদ্দ গ্রামে।
এটা হল নজির বিহীন ঘটনা। দেশে কোন আইনের শাসন নেই। ভোটের অধিকার নেই। বর্তমান সরকার নিজেই আইন তৈরি করছে। তারা দেশের আইন কানুনের তোয়াক্কা করে না। আমরা খালেদার জিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালত প্রাঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়ার গ্রেফতারী পরোয়ানার প্রতিবাদে আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিলে সাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান এসব কথা বলেন।
এডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন, এডভোকেট জাকির হোসেন, এডভোকেট আজিজুল হক হান্ট, এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, এডভোকেট খোরশেদ আলম মোল্লা, এডভোকেট জিল্লুর রহমান মুকুল, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জাকির, এডভোকেট আনোয়ার প্রধান, এডভোকেট রাসেল মিয়া, এডভোকেট রিফাত , এডভোকেট মানিকসহ আইনজীবী নেতৃবৃন্দরা।
এডভোকেট সাখাওয়াত আরো বলেন, খালেদা জিয়া মানুষের গণতন্ত্রের কথা বলেন দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের কথা বলেন তাই তার বিরোধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আমরা চাই এদেশে একটি সুষ্ঠ গণতান্ত্রিক অধিকার কায়েম হোক। আজকে আমরা দেশ স্বাধীন করেছি স্বাধীন ভাবে চলাচল করার জন্য কিন্তু আমাদের স্বাধীনভাবে চলাচলের কোন অধিকার নেই। বর্তমান সরকার মানুষকে বোকা বানাতে গিয়ে নিজেই বোকার রাজ্যে বসবাস করছেন।
তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে মামলা দিয়ে দেশ থেকে বিতাড়িত করার পায়তারা করছেন। কারন তারা জানেন বেগম জিয়া নির্বাচনে অংশগ্রহন করলে শেখ হাসিনা পরাজিত হবেন। বর্তমান সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। ভোটার বিহীন সরকার ক্ষমতা কুক্ষিগত করার জন্য প্রশাসনকে দিয়ে বিএপির নেতাকর্মীদের উপর মামলা হামলার রামরাজত্ব কায়েম করেছে।
তারা চায়না দেশে সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। কারন সুষ্ঠ নির্বাচন হলে বর্তমান সরকার গো হারা হারবে। তাই তারা পদে পদে খালেদা জিয়াকে হয়রানী করার জন্য মামলা দিয়ে সর্বশান্ত করছে। দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করছে।